University Admission Information (Bangladesh)

Search This Blog

Here you will get information about all reknowned universities of Bangladesh as well as their subject reviews.

Most wanted blog for University Admission Examinees

এটার পুরোটা সময় হিউমেন বডি রিলেটেড কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আমার মাথায় সবসময় একটা জিনিস ঘুরপাক খেত সাবজেক্ট নেবার আগে যে-পৃথিবীতে মানব দেহের নতুন নতুন সমস্যা (রোগ) সৃষটি হওয়া কোন দিন থামবেনা যতদিন না পৃথিবী ধ্বংস হয়। আর এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবেই হবে কোন ডাউট নেই এবং নতুন নতুন ডিভাইজ তৈরী করতেই হবে। তাই জব আপনার সবসময় থাকবেই যতদিন মানব জাতি তথা প্রাণ আছে। 

বাংলাদেশ
কুয়েট যেহেতু প্রথম পুরো বাংলাদেশে এই সাব্জেক্ট আন্ডারগ্রাজুয়েট খোলার তাই আমরা(প্রথম ব্যাচ ২০১৪) বের না হওয়া পর্যন্ত স্পস্ট ধারনা দেওয়া কঠিন। তবে বাংলাদেশে আগামী ১৫ বছরে যদি কোন ফিল্ডে আগায় তাহলে সেটা মেডিকেল ইকিউপমেন্টের দিক হবে। সেই সুবাদেই আমার জানা তথ্য মতে ছোটবড় মোট ৭৯ টি বায়ো-মেডিকেল ইকিউইপমেন্ট এন্ড ইন্সট্রুমেন্ট এর কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের বিদেশি প্রোডাক্ট ডিল করে (বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত নিজের কোন ইন্সট্রুমেন্ট তৈরী করার কোম্পানী নেই যেটার জন্য বাংলাদেশ কে অনেক বেশি টাকা দিতে হয় এসব কোম্পানীকে তাদের মেডিকেল যন্ত্রাংশ কেনার জন্য। কারণঃ একটা MRI মেশিনের দাম ১০ কোর্ট -ই টাকা যেটা বাংলাদেশে উৎপাদন অদূর ভবিষ্যতে যদি সম্ভব হয় তাহলে অনেক কম খরচেই হয়ে যায়) বাংলাদেশে একজন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে খুব সম্ভবত এইসব কোম্পানিতে জব পেতে পারেন।মেইনটেনেন্স এবং মেশিন এর উপর ট্রেনিং করে এসে সেটা ইন্সটলমেন্ট থেকে শুরু করে খুটিনাটি ঠিক করা। যেহেতু বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার মোটের উপর বাংলাদেশে নেই তাই এসব জব ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার-রা করে থাকে বেতন খারাপ না। আমার তিন জন বড় ভাইয়ের কাছে জানা স্টারটিং ৩০,০০০+ এবং বাড়বে ভালই। কিন্তু রিসার্চ ফিল্ডে কাজ করার একদম বাংলাদেশে সুযোগ নাই। তাই মোটামোটি ধরে রাখেন বিদেশে আপনার যাওয়াই ভাল পরে বাংলাদেশে ইনভেস্ট করলেন কোন সমস্যা নেই। আর যেহেতু নতুন সাব্জেক্ট তাই বাংলাদেশের অন্য সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সাবজেক্ট খুললে সেখানে শিক্ষকের জব তো করতেই পারবেন। বেতন অনেক ভাল আশা করা যায়। বর্তমানে বুয়েট, MIST, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, JUST, সবশেষে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় এই সাবজেক্ট খুলেছে। তাছাড়া অন্যান্য গুলোতে খুললে অবশ্যই অনেক শিক্ষিকের প্রয়োজন হবে। 

বিদেশ
সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ এখন এই ফিল্ডেই দেওয়া হচ্ছে(আমার জানা মতে), অনেক কেই ইলেক্ট্রিকাল, মেকানিক্যাল পরে এ সাবজেক্টে স্কলারশিপ পেয়ে বাইরে যেতে দেখছি। তবে একটা কথা এই সাবজেক্ট পড়ে আপনি দেশে থেকে কোন মজাই পাবেননা। এবং ফান্ডিং ও ভাল (যদিও সেটা GRE, IELTS, TOEFL এর স্কোরের উপর নির্ভর করে অনেকটা)

বিসিএস
আমার জানা তথ্য মতে সরকারের বিল পাশ হয়েছে। যেহেতু এই সাবজেক্ট খোলার উদ্যেশ্য ছিল সরকারী হাসপাতালের দামী মেডিকেল যন্ত্রগুলো রক্ষনাবেক্ষন ও মেইনটেনেন্স করা, তাই সব সরকারী হাসপাতালে সরকারী জবের অপশন থাকবে এবং ইঞ্জিনিয়ারের স্কেলেই বেতব হবে। এখনো ডিক্লিয়ার হয়নি ২০১৯ এ হবার কথা আছে। 
মোটের উপর বলতে গেলে বাংলাদেশে স্কোপ কম কিন্তু আছে আর বাইরে অনেক বেশি। আর সাবজেক্ট-টা অনেক প্যাশোনেটেট না হলে পড়া উচিৎ না। কারণ ইঞ্জিনিয়ার-রা সাধারণত বায়োলজি পছন্দ করেনা, কিন্তু এই সাবজেক্টে হিউমেন এনাটমি শুরু থেকে বায়োক্যামেস্ট্রি পর্যন্ত স্টাডি করতে হয়। তাই দেখেশুনে ভেবে চিন্তে ডিসিশন নিবেন।

সকলের শুভকামনায়,
জয় জেমস কস্তা
বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কুয়েট
তৃ্তীয় বর্ষ ২য় টার্ম
ব্যাচ ২ক১৪
Share on:
Department of Aeronautical Engineering started its journey from 1st February 2009. MIST is only university in Bangladesh which is currently offering B.Sc and MSc in AE program. The aim of AE Department is to provide students with keen knowledge in the areas of aerodynamics space propulsion, aircraft loading & structural analysis, aerospace vehicle design, space Engineering advance aero space technology avionics and analysis of fundamentals as well as applied problems and to groom future engineers for aviation sector of Bangladesh and the world. 

The department is organized into two major divisions: i. Aerospace(mechanical side of an aircraft)
ii. Avionics(electrical side of an aircraft). 

Overseas students from different countries like Palestine, Maldives, Nepal pursued their bachelor degree from this department which was the beginning of wide opportunities for international students. The department is running its 10th batch with successful graduation of 6 batches of 289 students. 23 faculties specialized from different background (both civil, & military) are serving in this department Out of them two are from Indian Air Force. 

The AE department gets direct technical support from the Bangladesh air force and Biman Bangladesh airlines. Industrial visit to air force base and hanger of Biman Bangladesh airlines and many other places are part of this technical support. AE-09 and AE-10 batch made their industrial visit to BAF base Bangabondhu, Kurmitola Dhaka in the current year.
Within only about ten years, the department has participated in many national and international competitions and has clinched praise-worthy results. Mentionable are NASA Lunabotics Mining Competition 2013 (USA), DBF Competition 2013 (USA), SAE Aero-design competition 2013 (USA). NASA Lunabotics Mining Competition 2013 (USA), SAE Aero-design competition 2014 (USA), DBF Competition 2014 (USA), Future Flight Design (FFD) 2015 (Turkey). Aeronautical Engineering Department of MIST has organized 1st National Aero Design Competition in 2014 which is a milestone in the era of aviation in Bangladesh. The Dept has also organized several job fairs workshops and short courses to enlighten the interested people from diverse background about different aspects of Aeronautical Engineering.
The Board of Accreditation for Engineering & Technical Education (BAETE) approved Aeronautical Engineering program of MIST in 2016. AE Department has already signed MOU with Biman Bangladesh airlines. The department is in the process of concluding MOU with Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB), US Bangla airlines, SPARSO, Beijing University of Aeronautics and Astronautics (China) and other universities/organizations at home and abroad for the improvement of its academic capabilities
Currently many ex students of this department are persuading higher studies in abroad and many others are working in different airlines.

Edited by,
Sayed Al Rafid
AE-10
Share on:

প্রথমে বলে রাখি পড়ার বাজারে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রিকালচার বা আরো বিষয়ের ডিমান্ড ভালো থাকলেও বাংলাদেশ এ চাকুরির বাজারে এইগুলোর চেয়ে এডমিন, পররাষ্ট্র, পুলিশ ক্যাডার বেশি পছন্দ। এরছাড়া BB এর AD, কর, দুদুক বা আরো কিছু জবের চাহিদা এই দেশে সবচেয়ে বেশি। এই জব গুলো যে কোন ডিপার্টমেন্ট থেকে করা যায়। এছাড়া প্রথমেই বলে রাখি সকল ডিপার্টমেন্ট এর চাকুরি আছে, ভালো যে কোন ডিপার্টমেন্ট থেকেই করা যায়। 

মুল বিষয় শুরু করা যাক। ক্যারিয়ার কে আমরা কয়েক দিকে নিতে পারি।

১) সরকারী জব
২) বেসরকারি জব
৩) শিক্ষকতা
৪) দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা

সরকারী জব
আগেই বলে দিছি যে সকল জবের দাম সবচেয়ে বেশি সেগুলো যেকোন ডিপার্টমেন্ট থেকে করা যায়। আর বিষয় ভিত্তিক জব বাংলাদেশ এ কম। তাই এইখানে শুধু বিষয় ভিত্তিক জব নিয়ে বলা হলো। ক্যাডার (ইঞ্জিনিয়ারিং) হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সবচেয়ে বেশি নেয়া হয়। এর পরে থাকে EEE ও মেকানিক্যাল। এই বার থেকে ICT এর শিক্ষক হিসেবে EEE,CSE,IT,ECE,ICE থেকে নেয়া হচ্ছে। নন-ক্যাডার(ইঞ্জিনিয়ার) ও সায়েত্তশাসিত প্রতিষ্টান এ সিভিল, EEE থেকে বেশি নেয়া হয়। এছাড়া মেকানিক্যাল ও কম্পিউটার থেকে হাতে গোনা জবের সুবিধা আছে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (শুরুর বেতন প্রায় ৮০ হাজার) তে EEE থেকে বেশি নেয়া হই। এর পরেই থাকে সিভিল। অন্য ডিপার্টমেন্ট থেকে হাতে গোনা। যায় হোক অল্প কথায় সরকারী জবের জন্য সিভিল ও EEE ভালো হবে।

বেসরকারি জব
সকল ডিপার্টমেন্ট এর বেসরকারি জব আছে। বেসরকারি জবের ক্ষেত্রে পরিচিতি রেফারেন্স নিজের দক্ষতা লাগে। অনেক এ আছে ১৫ হাজার টাকায় শুরু করে অনেক এ আছে ৪০ হাজার টাকায় শুরু করে। আজ দেখছো এই জব অনেক। ভালো করে খোজ নাও সেই ডিপার্টমেন্ট এর স্টুডেন্ট সংখ্যা কত? তুমি যে ডিপার্টমেন্ট থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করো না কেন মোটামুটি ৩ বছর খাটতে হবে। আর আমার দেখা বেশির ভাগই (আমার রিলেটিভ এর মাঝে) ৫/৬ বছরেই খুব ভালো পজিশন এ চলে গেছে, কিন্তু উনারাই এক সময় ১২/১৫/২০ হাজার এ জব শুরু করছেন। কোন ডিপার্টমেন্ট এর জব বেশি তা এই বছর যা আছে ৪ বছর পরে তা নাও থাকতে পারে। দেশের বিভিন্ন অবস্থা ও সরকারের নীতিনির্ধারণ এর উপর এই গুলো উঠানামা করে। আমি নিজেই একটা কথা বলি URP এর জব চোখে দেখি না, আবার কাউকে বেকার থাকতেও দেখি না। আসলে পড়া শুরু করার আগে তো দুরে থাক 2nd year 3rd year এ উঠেও অনেক এ এই বিষয়ে ভালো জানে না। তুমি আজ বড় বড় IT বা অনলাইন ভিত্তিক বা ইলেক্টিক্যাল ইলেকট্রনিক কোম্পানির নাম জানো, আচ্ছা সিভিল বা URP এর কইটা কোম্পানির নাম শুনছো? আমি নিজেও URP এর কোম্পানির নাম জানি না। কিন্তু জব এদেরও আছে। অল্প কথায় সকল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর বেসরকারি তে জব আছে।

শিক্ষকতা
সরকারী ইউনিভার্সিটি এর শিক্ষক হতে রেজাল্ট ভালো থাকতে হবে। BUET KUET RUET CUET এর শিক্ষক হতে 1st 2nd 3rd পজিশন এ থাকতে হবে। এছাড়া অন্য science & technology ও জেনারেল ইউনিভার্সিটি তে নতুন ডিপার্টমেন্ট খোলা হইতেছে। এই সকল জায়গায় শিক্ষক হবার সুযোগ আছে। এই টা সকল ডিপার্টমেন্ট এর জন্য একটু কম বেশি থাকে। ৪ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এ EEE CSE ও সিভিল আছে এছাড়া ৬ টি টেক্সটাইল কলেজ তো আছেই। এই জায়গায় ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক জব হয়। তবে এইখানে ডিপার্টমেন্ট বাড়বে তাই অন্যদের জবের ক্ষেত্র বাড়বে।
এছাড়া সরকারী পকিটেকনিক ও টেক্সটাইল ইনিস্ট্রিটিউট এ ইনিস্ট্রাকটর হিসেবে (১ম শ্রেনি ৯ম গ্রেড) চাকুরি করা যায়। এই সকল জায়গায় সাধারনত সিভিল EEE CSE মেকানিক্যাল টেক্সটাইল এর জব বেশি থাকে। এই বাদে কম বেশি অন্য ডিপার্টমেন্টও থাকে।
বেসরকারি ইউনিভার্সিটি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর শিক্ষক হবার সুযোগ আছে। এর জন্য ভালো রেজাল্ট দরকার। বেতন ৩০-৬০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। এই সকল জায়গায় দেখা যায় EEE CSE সিভিল টেক্সটাইল এর জব বেশি থাকে। আরো ভালো করে বুঝতে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে কোন বিষয় বেশি পড়ানো হয় সেটা দেখো ভালো বুঝে যাবে।

দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা
যে কোন ডিপার্টমেন্ট এ পড়ে যেতে পারবে। ডিপার্টমেন্ট খুব একটা ব্যাপার না। বিস্তারিত ক্যাম্পাস এ এসে শুনতে পারবা।
CSE IT সিভিল EEE মেকানিক্যাল থেকে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি ব্যাংক এর ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে যাবার সুযোগ আছে। টেক্সটাইল ও আর্কিটেকচার থেকেও মাঝেমাঝে ২/৩ জন কে নিতে দেখা যায়। এছাড়া সিনিয়র অফিসার হিসেবে ব্যাংক এ অনেক ইঞ্জিনিয়ার জব করছে এবং ভালো করছে। আর এই নিয়ে BBA এর স্টুডেন্ট অনেক দাবী করলেও মানা হইনি। ভাবার কিছু নাই ব্যাংক এর বেতন ও সুযোগ সুবিধা অনেক। আর কেন জানি এই ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট গুলো ব্যাংক জবে এ অনেক ভালো করে। এই গ্রুপ ও বিভিন্ন ভাইয়ের পোস্ট থেকে এই কথা অনেকেই বুঝে গেছে এখন বাংলাদেশে ECE/ETE এর অবস্থা খারাপ। তাই এইটা চয়েজ দেয়ার আগে ভেবে দেখো।
আমার উপরের কথা থেকে হইত বুঝতে পারছো সকল ডিপার্টমেন্ট এর দাম আছে। তবে সিভিল আর EEE তে সরকারী জব বেশি। এখন যার যে দিকে যাবার ইচ্ছা ভেবে ডিসিশন নাও। একটা ডিপার্টমেন্ট এর সবাই ভালো করে না। তাই ২/১ জন কে দেখে এইটা ভালো ওইটা খারাপ এইটা ভাবা বোকামি। আর আজ যা ভাবছো ৪ বছর পরে একই ভাবনা থাকবে তার কারন নাই। আগে দেখলাম IELTS /GRE আর বিদেশ যাও। এখন দেখি সরকারী জবের চিন্তা সবার। অনেক সিনিয়র ভাই ৪/৫ বছর জব করে ছেড়ে সরকারী জবের দিকে যাচ্ছে। আবার অনেক এ সরকারী জবের দিকে আগ্রহী না। কারো নির্দিষ্ট একটি ডিপার্টমেন্ট এর প্রতি ভালো লাগা থাকলে সেটা পড়াই ভালো।

BUET সব সময় সেরা। অন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি এর পড়াশোনা ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক প্রায় একই। জায়গা, বাসা থেকে ডিস্টেন্স, কোন শহর ভালো লাগে, কোন ক্যাম্পাস ভালো লাগে এই সব সহ আরো কিছু ব্যাপার দেখে ইউনিভার্সিটি চয়েজ করা ভালো। মনে খটকা থাকলে সিলেবাস ডাউনলোড করে দেখো, যদিও এখন ভালো বুঝবে না।
সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
Share on:
কারো পছন্দ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আবার কারো পছন্দ আর্কিটেকচার। কিন্তু এমন কোন সাবজেক্ট যদি হতো যেটায় দুটোরই স্বাদ পাওয়া যায়। ঠিক সেই সাবজেক্টটিই BECM.

BECM কি?
Building Engineering & Construction Management (BECM) সাবজেক্টটি Civil Engineering, Architecture & Management এর মেলবন্ধন। নামের সাথে মিল রেখেই একজন বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ বিল্ডিং সম্পর্কিত। বিল্ডিংয়ের সমস্ত কাজ অর্থাৎ ডিজাইন থেকে শুরু করে কন্সট্রাকশন,পুরো কাজ নিয়ন্ত্রণ–যত কাজ আছে সব। অর্থাৎ একজন Building Engineer একটি বিল্ডিং প্রজেক্টের সম্পূর্ণ কাজের পুরোধা।

Purposes of BECM
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথাপিছু জমির পরিমাণ চলছে। সেই সাথে নগরায়নের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সবাই আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন এবং পরিবেশ বান্ধব বহুতল ভবন চাইছে। এ থেকেই BECM এর কনসেপ্টের শুরু। BECM ইঞ্জিনিয়ারই দিতে পারে সম্পূর্ণ বিল্ডিং সলিউশন তথা প্ল্যানিং, ডিজাইন, কন্সট্রাকশন, পুরো প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, পাশাপাশি চারিপাশের পরিবেশের ক্ষতি করবে না ও সমাজ ব্যবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন বিল্ডিং। যেহেতু বিল্ডিংয়ের ডিজাইন নির্ধারণ, বাস্তবায়ন ও নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ন একজন বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার এর হাতে, সেহেতু ইঞ্জিনিয়ার তার ইচ্ছে মত ডিজাইন পরিমার্জন, পরিবর্ধন করে বিল্ডিংকে আরো cost efficient করতে পারে। সেই সাথে সম্পূর্ণ কাজের ব্যবস্থাপনা করাও বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ। এ থেকেই BECM এর শুরু।

BECM এ কি পড়ানো হয়?
BECM এ Civil Engineering এর কোর্র্সের সাথে সাথে Building Engineering এর core course (Architecture & MEP) পড়ানো হয়। BECM এর Core Course: Architecture, Systems Modeling, Building Science , Acoustics, Building Envelope System etc. পড়ানো হবে।
এছাড়াও
Civil Engineering: বিল্ডিং স্ট্রাকচারও ফাউন্ডেশন বিশ্লেষন, কন্সট্রাকশন, মেইন্টেনেন্স, সেফটি সিস্টেম এর জন্য
Architecture: বিল্ডিং প্ল্যানিং,ডিজাইনিং এবং প্রযুক্তিগত, শিল্পরুচিসম্মত বিল্ডিংয়ের জন্য।
Project Management: চাহিদার উপরনির্ভর করে বাস্তবসম্মত বিল্ডিং প্রজেক্ট নির্বাচন, বাজেটিং, লোক নিয়োগ, পুরো প্রজেক্ট এর সমগ্র ব্যবস্থাপনার জন্য।
Mechanical Engineering: HVAC system ও মেকানিক্যাল সার্ভিস সিস্টেমের জন্য।
Electrical Engineering: পাওয়ারডিস্ট্রিবিউশন ও ইলেক্ট্রিকাল সিস্টেম স্থাপনের জন্য।
এছাড়াও Fire Engineering, Wind Engineering (Aerodynamics), Earthquake (ভূমিকম্প) Engineering পড়ানো হবেই

What is the work of a Building Engineer? Building Engineer এরকাজ কি শুধুই বিল্ডিং ডিজাইন ও কন্সট্রাকশনে সীমাবদ্ধ?
মোটেও না! একজন Building Engineer যেমন building design& construction এরসাথে building এর বিভিন্ন systems fire safety, lightning, venting, sustainability, heavy wind control, HAVC system etc. design করে । অর্থাৎ বাড়ির সকল আধুনিক সিস্টেম design একজন Building Engineer এর হাতে। বাড়ি সংক্রান্ত সকল Electrical & Mechanical solution একজন Building Engineer একাই দিতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন structure based Interior Design এরকাজও করে থাকে একজন Building Engineer.

Higher Studies
উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে Architecture কিংবা Structural Engineering এ তোমরা সহজেই উচ্চতর ডিগ্রী নিতে পারবে। এছাড়াও দেশের বাইরে Architectural Engineering কিংবা Building Engineering এরউপর উচ্চতর ডিগ্রী নেয়ার সুযোগ আছে। বিশ্বের নামকরা ইউনিভার্সিটিগুলোতে এমনকি MIT তেও গ্র্যাজুয়েশন শেষে তুমি Architecture কিংবা Building Technology তে মাস্টার্স ও পিএইচডি করতে পারবে।

Job facilities
যে হারে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি বাড়ছে এবং সরকারি ক্ষেত্রেও এ সেক্টরে সুযোগ বাড়ছে, সেহেতু তোমাদের চাকরি নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই। নিশ্চয়ই চাকরির ক্ষেত্রে একজন স্পেশালাইজড্ বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অগ্রাধিকার পাবে, কেননা সে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার দুটোতেই পারদর্শী । আবার দেশের বাইরে যেমন USA তে আর্কিটেকচার ও বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার একত্রে কাজ করে। ইউরোপীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে একজন বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার পুরোদস্তুর আর্কিটেকচারের মতো কাজ করে। সেক্ষেত্রে বুঝতেই পারছো এ সাবজেক্টে জবে কেমন ডিমান্ড। আর তাছাড়াও সাবজেক্টটি কুয়েটেই আছে শুধু, সেক্ষেত্রে চাকরিতে তোমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী তোমরাই।

আঁকাআঁকির হাত ভালো না হলে কি এ সাবজেক্ট নেয়া উচিত?
দেখো, আসলে আর্কিটেকচার আছে জেনে আমরাও প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। আর্কিটেকচার ড্রয়িং পারবো কিনা! প্রথমে কষ্ট হলেও পরে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়নি। তাই আকাঁআকিঁর হাত খুব ভালো না হলেও তুমি নিঃসংকোচে BECM নিতে পারো।

পরিশেষে নবীন যারা BECM নিবে, তাদের জন্য শুভেচ্ছা রইলো।

লেখকঃ ধ্রুব (Da Dhrubo) & ফাহাদ (Moin Fahad)
বিশেষ সহযোগিতায়ঃ সত্যজিৎ (Sattyajit Mandal)
Department Of Building Engineering & Construction Management
Khulna University of Engeneering & Technology
Share on:
Urban & Regional Planning (URP) বা নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা নিয়ে তোমাদের অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন ঘুরছে। একটা সাবজেক্ট রিভিউ লিখবো ভেবে পরোক্ষণে ভাবলাম কিছু প্রশ্নের উত্তর জানাটা এবং জেনে ভর্তি হওয়াটা তোমাদের জন্য অনেক বেশি জরুরী। (বিশেষ করে যারা URP তে ভর্তি হতে যাচ্ছো বা চাচ্ছো। )
১. ইউআরপি কি ইন্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট?
- URP একটা Mixed Subject. এটি Civil Engineering,Architecture, Geography/geology,Economics/statistics & Sociology এর একটা Mixture. একজন প্ল্যানার একটা শহরের Spatial/Economic Plan করবে যেখানে তিনি Civil Engineering এর জ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে সমস্যা সমাধান করবেন আর Architecture এর জ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে একটা শহরকে দৃষ্টিনন্দন করে সাজাবেন। প্ল্যানটা অবশ্যই ইকোনমিক্যালি ফিট হবে এবং তার জন্য Statistical Analysis ও দরকার হবে। আর এই সব কাজইই হবে সমাজের সবস্তরের মানুষদের জন্য যাতে তারা একটা নিরাপদ-সুন্দর-পরিষ্কার-যানযট মুক্ত-পরিকল্পিত নগরী পায়। যেখানে সকল নাগরিক সেবা নিশ্চিত হবে,নিশ্চিত হবে নাগরিক স্বাস্থ্য।
সুতরাং,URP একটি Planning Subject. একই ভাবে Architecture একটি স্থাপত্য-বিষয়ক সাবজেক্ট।
২. URP পড়ে কি ইন্জিনিয়ার হওয়া যায়?
- URP পড়ে অবশ্যই তুমি একজন প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতে পারবে এবং নামের সামনেও ইন্জিনিয়ার লিখতে পারবা তবে সেটা সিভিল ইন্জিনিয়ারিং এ (Environmental Engineering/Urban Engineering/Geo-tech Engineering/Transportation Engineering etc) মাস্টার্স করার পর। দেশে মাস্টার্স করার সুযোগ একদম সীমিত হলেও বাইরে সুযোগ আছে। তবে সেটা এত সহজলভ্য নয়। এর জন্য উচ্চবিত্ত রেসাল্ট, ফিল্ড অফ ইন্টারেস্টে পেপার-জার্নাল,প্রফেসর পটানো, পাবলিকেশন etc. এর মমত ঝক্কি-ঝামেলা আছে।
৩.ভাইয়া ইউআরপি তে নাকি Bsc Degree দেয় না?
-Bsc means Bechelor of science.URP তে যে ডিগ্রীটা আমাদের দেশে Provide করা হয়। সেটা হলো BURP (Bechelor of Urban & Regional planning). আর্কিটেক্টরাও এরকম ডিগ্রী পায় BArc (Bechelor of Architecture). বাইরের ওয়ার্ল্ড Ranking এ উপরের এরকম অনেক ভার্সিটিতে এভাবে Direct degree provide করা হয়।যেমন : BME (Bechelor of Mechanical Engineering), Bechelor of Construction Engineering. আবার Bsc কিন্তু শুধু আমাদের ইন্জিনিয়ার বন্ধুরা নয় অন্যরাও পায়। যেমন: BSc in Geography,BSc in statistics, BSc in Botany etc.
৪. দেশে চাকরীর বাজার কেমন?
-ভালো ছিলো না।এখনো যে খুব ভালো তাও না।ভালো হচ্ছে এমনটা বলাও ঠিক না। তবে, দিনদিন দেশ প্ল্যানিং এর গুরুত্ব উপলব্দি করতে পারছে। যত Development হবে,তত চাহিদা বাড়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় বাড়ছে না। অল্প জায়গায় বেশি মানুষের সুস্থ্য ভাবে বেঁচে থাকার পরিকল্পিত শহর নিশ্চিত করতে আরো পরিকল্পনাবিদ প্রয়োজন হবে এটা ঠিক। একটা সমস্যা হলো maximum চাকুরী হলো প্রজেক্ট নির্ভর। আর তুমি যদি GIS এ নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারো তবে তোমার জন্য অনেক দরজা খোলা থাকবে ইনশাল্লাহ্! সাথে যদি নিজ চেষ্টায় প্রোগ্রামিংটা শিখো আরকি! কি কৃষি অফিস কি স্বাস্থ্য সব জায়গায় এমনকি রিসার্সের কাজেও এখন GIS specialist এর ভালো ডিমান্ড আছে। তবে কেউ যদি বলে দেশে CSE/EEE এর জব সেক্টর বেশি নাকি URP এর? তবে বলব অবশ্যই CSE/EEE এর।এ ব্যাপারে কোনো আপোস নেই।যদিও জব সেক্টর Depends on you, your efficiency not your subject. NGO/INGO তেও অনেক প্ল্যানার দক্ষতার সাথে অনেক বড় বড় পোস্ট রুল করছে। জাতিসংঘের (UNHCR/UNICEF....) এবং ADB/WDB তেও অনেকে আছে।
৫. বাইরে চাকরীর বাজার কেমন?
- ভালো। কানাডা-অস্ট্রেলিয়া সহ অনেক উন্নতদেশে আর্বান প্ল্যানারদের অনেক চাহিদা। বাজারটা মূলত বাইরেই। দেশে তেমন নেই সংখ্যার বিচারে।
৬. রিসার্স?
- স্কলারশীপ নিয়ে বাইরে মাস্টার্স/পিএইচডি/ রিসার্স/পোস্টডক করছে এমন ভুড়িভুড়ি নজির আছে URP থেকে।অনেকে URP কে রিসার্স সাবজেক্ট বলেন। যেহেতু, Geo-science, transportation planning etc. তে প্রতিবছর বহু URP graduate বাইরের অনেক ভার্সিটিতে রিসার্স এসিসটেন্ট/এসোসিয়েট হিসেবে যোগ দেন।
৭. দেশে বেতন?
- শুরুতে বেতন কিছুটা কম থাকলেও Experience এর সাথে সাথে বাড়তে থাকে।বর্তমানে প্রায় সব ইন্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট এরই প্রাথমিক বেতন তুলনামূলক কম থাকছে। কি মেকা,কি সিভিল, কি Urp সবারই শুরু হচ্ছে ২০-২৫-৩০ দিয়ে এভারেজে। IWM এ GIS specialist রা starting 40K এর উপরে পায়। অনেক International NGO তে Planner রা আরো বেশি বেতনে দক্ষতার সাথে Rule করছে। ১.৫ লাখটাকা বেতনের প্রজেক্টে জব করে এমন প্ল্যানারও আছে। ভাগ্যক্রমে কেউ যদি গভঃপ্রজেক্টে যায় কিংবা রাজউক/KDA/CDA তে তাহলে তো লালে লাল।
৮. নামের সামনে ইন্জিনিয়ার?
-নামের সামনে ইন্জিনিয়ার লাগানো কিংবা শুধুমাত্র ইন্জিনিয়ার হওয়াই যাদের জীবনের এক এবং একমাত্র লক্ষ তারা সুযোগ থাকলে URP তে না আসলেও পারে।আমি মনেকরি তাদের আাসার দরকার নেই। এটা তাদের জন্যও ভালো,ডিপার্টমেন্টের জন্যও ভালো।তাদের উচিৎ সুযোগ থাকতে অন্য কোথায় পরীক্ষা দিয়ে চলে যাওয়া।
৯. সরকারী চাকুরী আছে?
- আছে। Rajuk,KDA,RDA,CDA,Cox's bazar development authority এই উন্নয়ন কতৃপক্ষ গুলোতে Urban planner & Govt. Authorized officer হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে।যদিও আর দশটা Government Organization এর মতই নিয়োগ অনিয়মিত।তবে সুখের ব্যাপার হলো বাংলাদেশের ২০০ টি পৌরসভায় Town-planner নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। কবে নাগাদ হবে বলা যাচ্ছে না।বিসিএসে স্পেশাল কোনো কোটা এখনো নাই।আলোচনা চলতেছে। UDD তে ২/৩ টি পোস্ট আছে।নিয়োগ দ্রষ্টব্য নয়।

যারা ভালো করবে :
- যারা software এর কাজে আনন্দ পাও।
-হাতের কাজে ভালো/সৌন্দর্যবোধ ভালো।
-যারা মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করো।
-যাদের Team work ভালো লাগে।
-যারা Innovative
-যারা নতুন নতুন Problem solve করতে এবং Challenge নিতে পছন্দ করো।
-আর রেসাল্ট ভালো করতে গেলে অবশ্যই মুখস্তবিদ্যায়(বুঝে বুঝে মনে রাখা) পারদর্শী হতে হবে! (এটা CSE to URP সবার জন্য প্রযোজ্য)

Satisfactions :
-সরাসরি মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পাবে
- মানুষে সাথে প্রত্যক্ষভাবে মেশার সুযোগ পাবে।
-সামাজিক নানা সমস্যা সমাধানের এবং এগুলো নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে।
-যারা ঘুরতে ভালোবাসো তাদের জন্য URP হচ্ছে মেঘ না চাইতে বৃষ্টি! সার্ভের কাজে রাস্তায় রাস্তায় এত ঘুরতে হবে যে একসময় ঘুরাঘুরির প্রতি বিরক্তি চলে আসতে পারে!

সবশেষে;সত্য কথা হলো এটাই যে, সাধারণত শখ করে কেউ URP নেয় না।কারণ,দেশে ভালো জব ফেসিলিটি নাই।তারপরো, যারা আসতেছো বা যাদের আসতেই হচ্ছে তাদের সবাইকে URP পরিবারে স্বাগতম। সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিবো ইনশাল্লাহ্।
কথা দিলাম... 

মোঃ মাহির লাবিব চৌধুরী (মাহি চৌধুরী)
Dept of URBAN AND REGIONAL PLANNING (URP)
KHULNA UNIVERSITY OF ENGINEERING & TECHNOLOGY (KUET)
Share on:
গতবছর এই সময়ের কথা, তোমাদের মতই সাবজেক্ট চয়েস নিয়ে থিসিসে ব্যস্ত ছিলাম। সমস্যাটা হল থিসিসপেপার বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য মানে কোন সাবজেক্টে আসলে কি পড়ানো হয়, চার বছর সায়েন্স পড়ার পর আমার যেসব টপিকসে একটু বেশিই আগ্রহ জন্মেছে, সেগুলো আরও কতটা বিস্তারিতভাবে পড়তে পারব, অথবা বর্তমানে বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রিসার্চ ফিল্ডে  যতগুলো সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, সেসব সুযোগ গ্রহনে এগিয়ে থাকছে কারা, এসব ডাটা আমার কাছে ছিলনা।
আমি দেখলাম চারপাশের হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় ২-১ টা নির্দিষ্ট সাবজেক্টের নাম। সারাজীবন কেমিস্ট্রিতে সর্বোচ্চ মার্ক পাওয়া প্রচণ্ডরকমের সৃজনশীল বন্ধুটার প্যাশন ছিল, যেই সাবজেক্টটা পড়বে ৪ বছর। সে বিষয়ে আসলেই খুব ভালভাবে দক্ষ হয়ে বাকি জীবন আনন্দে থাকবে কিনা, এসব কিছুই তেমন বিবেচনা করছেনা, এমন এক সাবজেক্ট নিল যেখানে কেমিস্ট্রি এক সেমিস্টারের একটা মাইনর কোর্সমাত্র, পাশ তো কেমিস্ট্রি রিলেটেড পড়াশুনা তার জীবনে ওখান থেকেই চিরবিদায়! KUET ECE এর একজন ছাত্রহিসেবে আমি কিছু তথ্য উপস্থাপন করব মাত্র, এবং সিদ্ধান্ত নেবে তুমি।

প্রথম কথা হল কুয়েটে যেই তিনটা মাত্র ফ্যাকাল্টি বা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর Core Department আছে, তার একটা হল EEE। ইলেকট্রিক্যাল ফ্যাকাল্টির একটা ডিপার্টমেন্ট হল ECE। EEE এই নামটার সাথে তোমরা ECE এর চেয়ে বেশি পরিচিত, কিন্তু ইন্টার লেভেলে ইলেকট্রনিকস নামে খুবই ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়ের সাথে তোমাদের ভালই পরিচয় হয়েছে, আর এই ইলেক্ট্রনিকসই হল ECE এর ভিত্তি, একসময় তোমার পরিচিত সাদামাটা Diode, Transistor এইসব জিনিস Signalamplify করা শুরু করল, এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠল বর্তমান পৃথিবীর সবরকমের Digital Communication, 'টরেটক্কা' আওয়াজ করা telegraph, এই কয় বছর আগেরও ঢাউস Landphone থেকে বর্তমানের Iphone – সবগুলই হল Electronic Device, খুলে দেখ, ভেতরেসেই একই IC, Silicon Chip।

১৫ বছর আগেও হয়ত Internet শব্দটার অর্থ ছিল-‘একটি ল্যান্ডফোন, একটি তার, একটি কম্পিউটার...’, অথচ ঠিক এই মুহূর্তে আমার লেখাটা হয়ত পড়ছ Mobile-এ Wi-Fi ব্যাবহার করে। পরিবর্তনটা আসলে কিভাবে হচ্ছে ?

ECE –তে তোমার ৪ বছরের কোর্স-টায় তোমাকে আসলে যা পড়ানো হবে-
1. SOLID  STATE  ELECTRONICS
2. ANALOG  ELECTRONICS
3. DIGITAL  ELECTRONICS  &  LOGIC CIRCUITS
4. SIGNAL  &  SYSTEMS
5. SCIENCE  OF  MATERIALS
6. ANALOG  COMMUNICATION
7. ELECTROMAGNETIC  FIELDS  &  WAVES
8. ELECTRICAL  DEVICES  &  INSTRUMENTATION
9. INDUSTRIAL  ELECTRONICS
10. MICROPROCESSOR  &  MICROCOMPUTER
11. MICROWAVE  ENGINEERING
12. DIGITAL  SIGNAL  PROCESSING
13. DIGITAL  COMMUNICATION
14. ANTENNA  ENGINEERING
15. VLSI DESIGN  &  NANOTECHNOLOGY
16. WIRELESS  COMMUNICATION
17. NUMERICAL  ANALYSIS
18. OPTICAL FIBER  COMMUNICATION
এবং
1. BASIC  ELECTRICAL  ENGINEERING
2. COMPUTER  FUNDAMENTALS  &  PROGRAMMING
3. OBJECT  ORIENTED  PROGRAMMING
4. DATA  STRUCTURE  &  ALGORITHM
5. INTERNET  PROGRAMMING
6. COMPUTER  NETWORKS.

2nd year 1st term পর্যন্ত তোমাদের Physics, Chemistry, Mathematics এর প্রয়োজনীয় কোর্স করা লাগবে, যেগুলোর ওপর ভিত্তি করে তোমার সাবজেক্ট দাঁড়িয়ে আছে, আর এছাড়াও তোমরা Humanities এর বেশ ইন্টারেস্টিং কিছু কোর্স পাবা যা বাস্তব জীবনে এবং Corporate Job-এ একজন Engineer এর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
যদিও তোমাদের কোনো সাবজেক্ট সম্পর্কেই কো্নো ধারনা নেই, তবুও উল্লেখ করা কোর্সগুলো দেখে কি মনে হচ্ছেযে Electrical Engineering এবং Computer Engineering দুইটার সম্মেলন ঘটছে?

মনে হতে পারে। সত্যিকার অর্থে একজন ইলেকট্রিক্যাল  ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে একজন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারের পার্থক্যটা হল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের  Power Plant Engineering, Power Conversion,High Voltage Engineering, Power Plant Protection, Power System Reliability,Power System Operation and Control এই কোর্সগুলো মেজর হিসেবে পড়তে হয়- যেটাকে CORE কোর্স বিবেচনা করা যেতে পারে । কিন্তু কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারদের CORE কোর্স হল কমিউনিকেশন। (Courtesy: Walid Bin Habib,APECE,DU)

তোমার কাজ কেমন হতে পারে একটু দেখি। পুরোদস্তুর ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার হতে পার, দেশেবিদেশে প্রচুর সুযোগ কেবল যদি ইলেকট্রনিকসেও এক্সপার্ট হও! একটা কোম্পানি এক ধরনের ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে চলেনা; সেখানে ইঞ্জিনিয়ারদের টিম থাকে। Device  গুলো হয় সবই Electronic  যেগুলো কন্ট্রোল করতেহয় Electrically যা সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার  ছাড়া কোনভাবেই সম্ভবনা। তুমি উদ্যোক্তা হও,বন্ধুরা মিলে মেধাকে কাজে লাগিয়ে ছোট থেকে শুরু কর। তোমার কারনেও তো একদিনবাংলাদেশে Intel এর মত Industry Giant এর সৃষ্টি হতে পারে। খুব বেশি অসম্ভব মনে হয়? পাশেরদেশ ভারতই এখন Hardware,Software & Machines Exporter হিসেবেবিশ্বে কতটা Dominant  একটু সার্চ করে দেখ।

যুগটা যখন কম্পিউটারের তখন সব ধরনের প্রসেসকে তোমার ডিজিটালি কন্ট্রোল করতে হবে। মোবাইল কোম্পানিতে Network Error থেকে শুরু করে Development সম্পর্কিত সব কাজে তোমার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর নলেজ লাগবে। কোন সন্দেহ নেই KUET ECE এর সব সুযোগ গ্রহন করলে তুমি সফটওয়ার ইন্ডাস্ট্রিতেও জায়গা করে নিবে ততটাই সাবলীলভাবে যতটা ঐ ফিল্ড রিলেটেড গ্রাজুয়েটরা পারে এবং তাই হচ্ছে। KUET ECE Graduate দের একটি বিশাল অংশ Software Engineer হিসেবে কর্মরত।

কিন্তু তোমার কমিউনিকেশন ফিল্ডে  তুমিই electrically data transfer এর কাজগুলো করবে। রাতারাতি মিনিটে ১০ টাকা থেকে ১০ পয়সায় মোবাইল ফোনের কল-রেট নেমে আসেনি, কাজটা যখন data loss কমানোর তখন communication engineer-রাই সর্বেসর্বা।

দেশের ভিতরে job field গুলো লক্ষ্য কর –
Career opportunities:
# Telecommunication and Mobile companies
# Wimax and Broadband Technology companies
# Bangladesh Radio (radio Engineer) (*)
# BCS Telecom Cadre# Scientific Officer at BAEC (*)
# Scientific Officer, BCSIR (*)
# BCS Economic Cadre( Assistant Chief)
# Petro Bangla ( Assistant Manager, Electronics)
# Software Companies and Networking
# Bio Medical Instrumentation Engineer
# General Cadre Service, PSC (BCS)

# In abroad- Communication Engineer in Telecom and Satellite sector and Wireless Communication, Microwave Engineer. (courtesy-Walid-Bin-Habib,APECE,DU)


উদ্যোক্তা হবার ব্যাপারটাও আগে বলেছি।  বাংলাদেশে যেই সেক্টরে এখন দেশি ও বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট সবচেয়েবেশি তার একটা হল ICT সেক্টর,  (source:www.basis.org.bd/resource/ICT%20Sector%20Study%20Bangladesh.pdf ) । তোমরা একটু সার্চ করলেই High-Tech Park, It Village সহ rapidly expanding যতোগুলোবিশাল প্রজেক্ট-এর খবর পাবে বাংলাদেশে, সেগুলোতে expert হিসেবে কাজ করবে কারা ? 

আরএকটা জিনিস একটু খেয়াল কর যে এই বিশাল চাকরি ক্ষেত্রের বিপরীতে সারাদেশে বছরেমাত্র কয়জন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার  তৈরি হয় ?
Higher studies-এর ইচ্ছে থাকে অনেকের, দেশের জন্য ক্ষতিকর হলেওসত্য ECE grad. দের জন্য USA, Australia , Europe (specially Germany, Netherlands ) এ মাস্টার্সের জন্য যাওয়া এবং Job & Research assurity  অনেক বেশি। কুয়েট ইসিই এর অধিকাংশ ফ্যাকাল্টি মেম্বার-ই higher studies and research experience  সম্পন্ন। এখানের সকল সিনিয়র শিক্ষকই ডক্টরেট সম্পন্ন। অনেকেই বিদেশে কর্মরত অথবা গবেষণারত।

বাংলাদেশে বর্তমানে যতধরনের high-classjob field  আছে তার মধ্যে Robi,  Grameenphone,  Banglalink ইত্যাদি কোম্পানি  গুলোকে সহজেই নোট করা যায় এবং আমি আবার নতুন করে job opportunity এবং তোমাদের করনীয় ব্যাখ্যা করতে চাচ্ছিনা।

সবই সম্ভব যদি KUET  ECE থেকে ভালো working skill and knowledge নিয়ে বের হতে পার, সাথে অবশই সন্তোষজনক CGPA । ECE এখন কুয়েটের অন্যতম প্রাইম ডিপার্টমেন্ট এবংল্যাবগুলোও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ।  ল্যাবগুলো হলোঃ-
1. ELECTRONIC  CIRCUIT  DEVICE  &  DESIGN  LABORATORY
2. MICROWAVE  &  ANTENNA  LABORATORY  (RADAR,SATELLITE,GPS)
3. COMMUNICATION   SYSTEM  LABORATORY  (ANALOG,DIGITAL,OPTICAL,WIRELESS,TELECOMMUNICATION)
4. DIGITAL  SYSTEM  DESIGN  &  SIGNAL  PROCESSING  LABORATORY
5. MICROPROCESSOR  AND  CONTROL  LABORATORY
6. COMPUTER  PROGRAMMING  LAB.

এছারাও আমাদের আছে MEC (Manipulator of Electrons) ক্লাব যা ECE এর স্বকীয় ক্লাব। ক্লাসের বাইরেও আমরা যথেষ্ট পরিমান কাজ প্র্যাকটিস করতে পারি। বিভিন্ন কোর্স হয়, সিনিওর ভাইদের কাছ থেকে যেকোনো সাহায্যপাই, robotics, electronics project competition, acm-icpc programming contest সব কিছুতে অংশগ্রহণ করি এবং এভারেজে কুয়েট থেকে যতোগুলো সেরা প্রোজেক্ট হয় তার বেশিরভাগই থাকে ECE-এর। RUET,IUT,DU –তে বেশ কয়েকটি কনটেস্ট-এ MEC এর ভাইদের কাজগুলো ভাল পজিশন করেছে।কয়েকদিন আগে হুয়াই ict-এর সবচেয়ে prestigious পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের দেশের ১০ জনকে তাদের মূল কোম্পানিতে  জব অফার করেছে যাতে ১ম হয়েছেন যিনি, সেই আপুএ কজন KUET ECE GRADUATE. রিসার্চের ব্যাপারটা আগেই বলেছি, তো শেষ তথ্যহল তোমার লিমিট আসলে কতটুকু হতে পারে? বেশ, KUET ECE GRAD একজন (Md. Arif khan) বর্তমানে NASA-তে কর্মরত, তো আমাদের মনে হয় তোমরা আরও বড় কিছু করবে। আমাদের শিক্ষকদের রিসার্চ ফিল্ডের একটা তালিকা দিয়ে দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হত, কিন্তু কথা তো অনেক হয়ে গেল, বাকিটা না হয় এসেই জেনে নিও।


প্রথমে যা বলেছিলাম আবারো তাই, তোমার প্যাশনের সাথে মেলাও, যুক্তি দিয়ে চিন্তা কর, চিন্তা কর খুবই ডিমান্ডিং ও ইন্টারেস্টিং এই সাবজেক্টে মানিয়ে নিতে পারবে কিনা।  নাকি আগ্রহ অন্য দিকে? ৪ বছর কি নিয়ে থাকবে তালিকা কিন্তু দিয়ে দিয়েছি। 
মেধার জোরে জায়গা পেয়েছ এখন সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নাও। ইনশাআল্লাহ্‌, সাফল্য আসবেই এবং-
দেখা হবে ক্যাম্পাসে !!!!!!!!!!!! :D

Mohammad Galib Khan
Department of Electronics & Communication Engineering
Khulna University of Engineering and Technology
Share on:
Computer Science হলো কম্পিউটারকে কাজ শিখানো, কথা শুনানো, তাকে দিয়ে ইচ্ছামত কাজ করানো। গাণিতিক সমস্যা সমাধান করানো থেকে শুরু করে রোবট চালানো, গেম বানানো, মহাকাশযান চালানো সবই এর মাধ্যমে করা যায়। Computer Science এ মূলত পড়ানো হয় সফটওয়ার তৈরির বিভিন্ন কৌশল, কম্পিউটার ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরির কৌশল, অটোমেশনের বিভিন্ন কৌশল, কমিউনিকেশনের বিভিন্ন ধাপ ও কৌশল ইত্যাদি।

চাহিদা
আইটি আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম ৩০টি সম্ভাবনাময় দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের দেশে এখনো চাহিদার তুলনায় দক্ষ কম্পিউটার সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট অনেক কম। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সাথে সাথে শিল্পে আধুনিকায়ন হচ্ছে। পরমাণু শক্তি কমিশন, Satellite Transmission থেকে Traffic Controlling, E-governance, রেল যোগাযোগ সহ সকল ক্ষেত্রেই কম্পিউটার এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ফলে সকল ক্ষেত্রেই CSE এর চাহিদা ব্যাপক।

ভবিষ্যত
ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে কয়েকগুন। ইন্ডাস্ট্রিগুলো সবই সয়ংক্রিয় হয়ে যাবে। নতুন নতুন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র তৈরি হবে। মানুষ সব কিছুই এখন ঘরে বসে পেতে চায়। ফলে অনলাইন মাধ্যমগুলো দিন দিন জনপ্রিয় বাড়বে। আরো অনেক ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট তৈরি হবে। নতুন নতুন সফটয়্যার ও গেমসের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। যে বিষয় গুলো এখন পর্যন্ত এনালগে হচ্ছে সেগুলোতেও কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়বে। ফলে আগামী দিন যে সৃজনশীলতা আর উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মেকাট্রনিক্স আর রোবটিক্সের মত আরো বিভিন্ন শাখা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক।
সহায়ক গুনাবলীঃ গনিতে পারদর্শীতা, উদ্ভাবনী শক্তি, ক্ষুরধার যুক্তিজ্ঞান, সৃজনশীলতা, প্যাশন, ধৈর্য্য, প্রজ্ঞা, দূরদর্শীতা, নেতৃত্ব ইত্যাদি।

কর্মক্ষেত্র
আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটারের মত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে সকল ক্ষেত্রে। বিস্তৃত হয়েছে কর্মক্ষেত্র।
১। সরকারী বিভিন্ন বিভাগ-বিদ্যুৎ উন্নয়ন অধিদপ্তর, পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ড, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গণপূর্ত বিভাগ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রভৃতিতে প্রকৌশলী হিসেবে।
২। বিভিন্ন ফার্মে Software Engineer & Programmer, IT Professional.
৩। Network Administration, System Analyst.
৪। Web Mastering & Developing Company
৫। Graphics Designer.
৬। Film Industry তে Simulation & Animation ডিরেক্টর
৭। সামরিক বাহিনী।
৮। সরকারী ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা। 
৯। সকল আধুনিক শিল্পকারখানায় প্রসেস কন্ট্রোলিং এ।
১০। Grameen Phone, Banglalink, Robi, Airtel, Teletalk, Citycell প্রভৃতি মোবাইল কোম্পানিতে।
১১। Microsoft, Google, Yahoo, Facebook, Intel এর মত জায়ান্ট কোম্পানিগুলোতে।
১২। Nasa, সার্নের মত বিভিন্ন বিখ্যাত গবেষনা ইন্সটিটিউটে।
কোথায় পড়বেনঃ BUET, KUET, RUET, CUET সহ সব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে Computer Science& Engineering পড়ানো হয়।

স্কলারশীপ ও উচ্চশিক্ষা
Massachusetts Institute of Technology (MIT), Harvard University, The University of Melbourne, University of California at Berkeley (UCB), , University of Cambridge, University of Oxford, University of Toronto, The University of Queensland, Princeton University, Monash University এর মত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়া যায়। স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করার সুযোগ CSE তে অনেক বেশী।
Share on:
সবাই সবার বিভাগ নিয়ে লিখেছে বা লিখছে নতুনদের সুবিধার জন্য।তাই ভাবলাম অামিও লিখি অামার বিভাগ সমন্ধে।যদিও এটা অধিকাংশের ই অপছন্দের বিভাগ।পছন্দ হলেও শেষ পছন্দের তালিকায় থাকে।যাই হোক অামার লেখার উদ্দ্যেশ্য সবাইকে সত্য টা জানানো বা বুঝানো। শুরু করছি।

লেদার ইন্জিনিয়ারিং
কুয়েটে লেদারের যাত্রা শুরু হয় ২০১০ ব্যাচ কে দিয়ে। তোমরা যারা অাসবে তারা ২০১৭। তাই বলাচলে মোটামুটি নতুন বিভাগ। নতুন হলেও এ বিভাগের সাফল্য বা অর্জন কম নয়। বর্তমানে ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এ বিভাগে ব্যাচ রয়েছে।২০১০,২০১১,২০১২ ব্যাচ পড়াশোনা শেষ করে তারা কর্মজীবনে প্রবেশ করেছেন। এবার অাশা যাক পড়াশোনার মান নিয়ে। লেদার ইন্জিনিয়ারিং এর মুল বিষয় হচ্চে Chemistry. মোটামুটি ৫টি কোর্স অাছে। এছাড়া Math এর ৩টি, Statistics এর ১টি, Cse এর ১টি, Accounting & Law১টি, English ১টি, Sociology & Economics এর ১টি, eee এর ২টি course অাছে।এছাড়াও fluid mechanics,heat & thermal,manufacturing process এর ১ টি করে কোর্স পড়ানো হয়। এবার অাসা যাক বিভাগীয় পড়াশোনায় লেদার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ মুলত ৩টি ভাগে বিভক্ত: 
১. Leather Manufacturing
২.Footwear Engineering
৩.Leather Product Engineering

কথা হচ্ছে তুমি যদি এই বিভাগে পড়ো তাহলে এই ৩টি বিষয়ের সব একসাথে পড়তে পারবে অর্থাৎ (3 in 1 pacakage) অাজকালকার দিনের রেস্টুরেন্ট এর কম্বোর মত। manufacturing এর course ৪টি
footwear, product পড়ানো হয় টানা ২বছর।এছারাও Dyeing finishing, material science, footwear material, footwear testing,enviornmental engineering, microbiology,polymer science etc course পড়ানো হয়।

এবার অাসা যাক ড্রয়িং নিয়ে ইন্জিনিয়ারিং পড়বা ড্রয়িং করবা না তা কি হয় লেদারে ড্রয়িং এর কোর্স রয়েছে ২টি
1.Engineering Drawing (hand drawing)
2.Computer Aided Drawing
এবার অাসি ডিজাইনিং নিয়ে অামার সবাই নতুন নতুন ডিজাইন এর জুতা,জ্যাকেট পড়তে পছন্দ করি।মানিব্যাগ, মেয়েদের পার্স এগুলো সবসময় অামরা একটু ব্যতিক্রমী এর ব্যবহার করতে পছন্দ করি।একাজগুলো কারা করে ভাই, অাপু তোমরা কি ভেবে দেখেছ।না ভাবলে বলি এগুলো লেদার ইন্জিনিয়ারদের ই কাজ।
এজন্য অামাদের ডিজাইনিং শেখানো হয়। এজন্য অামাদের ডিজাইনিং এর মোট কোর্স রয়েছে ৮টি।যেখানে তুমি হাতে কলমে এবং কম্পিউটার এ সফটওয়ার এ ডিজাইন শিখতে পারবে।এছাড়াও অামাদের বিভাগে রয়েছে
১.Footwear Cad Organization
যার মুল কাজ হচ্ছে তোমাকে ডিজাইনার হিসেবে দখ্য করে গড়ে তোলা।
কাগজে কলমের পড়ার কথা বল্লাম এবার অাসি হাতেকলমে শেখার ব্যাপারে। অামাদের বিভাগের ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ অনেক ভার্সিটির অনেক পুড়নো বিভাগের তুলনায় অনেক বেশী, অনেক ভাল।অামাদের কম্পিউটার ডিজাইনিং ল্যাব হচ্ছে বাংলাদেশে সর্বাধুনিক,সর্বাপেক্ষা ব্যায়বহুল।অনেক পড়ার কথা বল্লাম এবার যারা পড়াবে তাদের কথা বলি
কি বুজতে পেরেছ হুমম ঠিক ধরেছ শিক্ষক । অামাদের সর্বমোট রয়েছেন১২জন শিক্ষক। এর মধ্যে ২জন পিএইচডি ধারী।সকলেই অনেক তরুন,উদ্যমী, দক্ষ।যা কিনা তোমাকে একজন ভাল প্রকৌশলী হতে সহয়তা করবে।এবার অাসো অবকাঠামোর কথা বলি কুয়েটে (eee,civil,me) এর পর ৪র্থ সত্নত্র বিল্ডিং রয়েছে এই বিভাগের।
এবার অাসো পড়াশেষ করে কি করবে তা বলি পড়াশেষে তুমি যদি চাও উচ্চশিক্ষা নিবে তাহলে তুমি এই বিভাগেই এমএসসি,পিএইচডি করতে পারো। বিদেশেও যথেস্ট সুযোগ রয়েছে।এছাড়াও তুমি চাইলে বুয়েটে বিভিন্ন বিষয়ে পড়তে পারো। অামাদের বিভাগের ৪জন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিতে চলে গেছেন।অারো অনেকেই এই প্রক্রিয়ার মধ্যে অাছেন।চাকুরীর কথায় অাসি বাংলাদেশে লেদার ইন্জিনিয়ারি এর সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।সুতরাং চাকুরীর অভাব নেই।উদাহারন স্বরুপ বলতে পারি দেশে ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রী অাছে ৩০০০+। ইন্জিনিয়ার বের হয় ৬০ জন কুয়েট থেকে। তাহলে বুজতেই পারছো।চাকুরীর কোন অভাব নেই।(Bata,Apex,Decathelon)etc brand এর কোম্পানি তে অামাদের এখানকার গ্রাজুয়েট গন সুনামের সাথে চাকুরী করছেন।সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে অামাদের স্যার রা খুজে খুজে তোমার চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকেন।তুমি চাকুরী করতে চাচ্ছ কিন্তু বেকার অাছ এমন ঘটনা ঘটনে। ক্যাম্পাস এ জব ফেয়ারের মাধ্যমে নিয়োগ হচ্ছে। শুনলে অাশ্চর্য হবে ২কে ১৩ ব্যাচ যারা কিনা শেষবর্সে অাছেন তাদের অনেকেই চাকুরীর এপয়্যানমেন্ট লেটার হাতে পেয়েছেন।যা কিনা একটি বিরল ঘটনা বলা চলে। এবার অাসা যাক গবেষনা করতে যারা চাও তাদের জন্যে।অামাদের এখানে নিয়মিত গবেষনা হচ্ছে।নিয়মিত বিরতিত অান্তর্জাতিক জার্নালে সেগুলো প্রকাশিত হচ্ছে।তোমার অনেকেই হয়তো লবন ছাড়া চামড়া সংরক্ষন এর খবর পড়ে থাকবে এটা অামাদের বিভাগের ২কে১১ ছাত্র #শাহরুখ ই নুর তমাল ভাইয়ের অাবিস্কার।তিনি বাংলাদেশে সর্বপ্রথম "best young leather scientist in the world"এর পুরস্কার লাভ করেন।নিয়মিত অামাদের বিভাগে বিভিন্ন conference এর অায়োজন করা,অংশগ্রহন করা হয়ে থাকে।(iultcs) যেটা কিনা লেদার ইন্জিনিয়ারদের অান্তর্জাতিক সংগঠন সেখানকার বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহন করে থাকে অামাদের বিভাগ।
যাই হোক অনেক কথাই বল্লাম সবাই অাশাকরি মোটামুটি ধারনা পেয়ে গেছ।যারা সন্দেহের ভিতরে ছিলা নিবে কি নিবে না এই বিভাগ অাশা করি সন্দেহ দুর হয়েছে।অারা যারা জানতে না এ বিভাগ নিয়ে তারাও জেনেছ।সুতরাং সিন্ধান্ত তোমার লোকের কথায় কান দিবে না কি সুদুরপ্রশারী চিন্তা করবে।পাশ করার পর চাকুরীর চিন্তায় পায়ের জুতা ক্ষয় করবে নাকি চাকুরীর নিশ্চয়তা নিয়ে বের হবে।কল্পনা করে দেইখ তোমার অন্য বন্ধু যখন চাকুরী খুজবে তুমি তখন অফিসে যাচ্ছ।অনুভুতি টা কেমন।সুতরাং এখনই সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার গতানুগতিক ভাবে চলবে নাকি একটু ভিন্নভাবে চলবে।অাজ এখানেই শেষ করলাম। সকলকে ধন্যবাদ।
মাজহার অয়ন

Share on:
URP (Urban and Regional Planning) হয়তো এখনো বাংলাদেশের মানুষের কাছে ইলেক্ট্রিক্যাল, কম্পিউটার, সিভিল,কিংবা মেক্যানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো খুব বেশি পরিচিতি পায় নি । আমার এই ছোট্ট জীবনে আমি অসংখ্য মানুষ পেয়েছি যারা কিছু না জেনেই দাঁত মুখ খিঁচিয়ে, ভুরু নাচিয়ে,বিশাল ধরণের একটা প্রশ্নবোধক তৈরি করে তাকায়...... “এইডা আবার কী !”আসুন একটু দেখে নেই URP সাবজেক্টটি কি,এখানে আসলে কি পড়ানো হয় আর কেনই বা সাবজেক্টটি পড়ানো হয় ।। URP - Urban and Regional Planning, বাংলায় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা । নাম থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে কোন নগরের সামগ্রিক পরিকল্পনা করাই এই সাবজেক্টের কাজ । সাধারণত যেকোনো স্থাপনার নকশা করে স্থপতিরা, আরসেটি নির্মাণের বিভিন্ন দিক তদারক করা পুরকৌশলের কাজ । কিন্তু সামগ্রিকভাবে একটি নগরের ডিজাইন করা থেকে শুরু করে একটি পরিকল্পিত নগর গড়ে তুলার জন্যে ঐসব স্থাপনার ভুমিকা কতটুকু বা ঐসব স্থাপনার আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কিনা বা উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি নগরের এবং নাগরিকদের কি কি দরকার, সেখানে বসবাসরত জীববৈচিত্র্য এর কোন ক্ষতি হবে কিনা সেটা দেখাশুনা করাই হল নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনাবিদদের কাজ । একটি সাধারন বিষয় চিন্তা কর, , “এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা যেখানে স্থাপনা শুরু হয় সেখানেই স্থাপনা বাড়তেই থাকে ( যেমন-ঢাকা ); আবার যেখানে স্থাপনা নাই সেখানে তেমন কিছুই গড়ে উঠে না (যেমন- রাজশাহী বা অন্য যেকোন শহর) । যার ফলে সামান্য কোন দরকারেও আমাদের ঢাকায় যেতে হয় । কিন্তু যদি স্থাপনাগুলা ডিসেন্ট্রালাইজড করা হয় তাহলে কিন্তু এই সমস্যা গুলা অনেকাংশে কমানো সম্ভব”, URP তে পড়ে তুমি এই বিষয়গুলা সম্পর্কে সঠিক ধারনা পাবে । আর এ উদ্দেশ্যেই উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত পরিকল্পনা বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বর্তমানে আমাদের দেশেও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকল্পনা বিষয়ে অধিকতর উন্নত শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে URP সাবজেক্টটি পড়ানো হয়ে থাকে । কি কি পড়ানো হয় এই সাবজেক্টে?? নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়টি মূলত পূরকৌশল, স্থাপত্য বিদ্যার সংমিশ্রণ ।পুরকৌশল এর প্রাথমিক কিছু কোর্স করানো হয়। পাশাপাশি স্থাপত্যবিদ্যা নিয়েও বেশ ঘাটাঘাটি করতে হয় । এছাড়া পরিকল্পনা বিষয়ক নিজস্ব কিছু কোর্স তো আছেই ।পরিকল্পনা বিষয়ক কোর্স গুলোর উল্লেখযোগ্য হলঃ~ Site and Area Planning ~ Natural hazards & Disaster Management ~ Land Development and Management ~ Planning of Utility & Municipal Services ~ Planning of Tourism & Recreational Facilities ~ Environmental Planning & Management ~ Traffic & Transportation Studio ~ Transportation Policy & Planning ~ Rural Development Planning ~ GIS & Remote Sensing ~ Political Science & Local Government ~ Landscape Planning Design ~ Housing & Real Estate Development এছাড়াও পুরকৌশলের কিছু কোর্সও পড়ানো হয়, , এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,~ Basic Environmental Engineering ~ Elements of Civil Engineering Structures ~ Water Resource Planning এছাড়াও মেকানিক্স, প্রোগ্রামিং এবং স্থপত্য বিদ্যার কিছু মৌলিক কোর্সও করানো হয় । এছাড়াও গ্রাফিক্সের কিছু সফটওয়্যার, জী আই এস এসব সম্পর্কে বিষধ ধারণা দেয়া হয় ।।সিলেবাস (রুয়েট) লিংকঃ http://goo.gl/gLFMoT #এখন_আসি_কোটি_টাকার_­ প্রশ্নেঃ চাকরীর বাজারে এ সাবজেক্টের মুল্য কতটুকু?? চাকরির বাজারেও এ সাবজেক্টের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে যা দিন দিন বাড়ছেই ।সাবজেক্টটি পড়ানো হচ্ছে বর্তমানে বুয়েটে (৩০), কুয়েটে (৬০), রুয়েটে (৩০), চুয়েটে (৩০),জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (৫০), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (৪২) এবং ভিন্ন নামে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ানো হয় ।অর্থাৎ এই সাবজেক্ট থেকে প্রতিবছর পাশ করে বেড়াচ্ছে প্রায় ৩০০ জন এরও কম গ্র্যাজুয়েট যা চাকরীর বাজারে নিশ্চিতভাবেই তোমাকে বাড়তি সুবিধা দিবে । এখন আসো দেখি, তুমি কোন কোন সেক্টরে চাকরি করে “চাকরি নাই” কথা টা ভুল প্রমানিত করতে পারো । #চাকরীর_ক্ষেত্রঃ সরকারী চাকরীর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হল,রাজধানি উন্নয়ন কতৃপক্ষ(রাজউক), এলজিইডি, এলজিআরডি, গণপূর্ত অধিদপ্তর, দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, সকল পৌরসভা,পরিকল্পনা কমিশনে নগর পরিকল্পনাবিদের আসনে আসীনহতে পারবে । UNDP, UNICEF, UNESCO এর অধিনে আয়োজিত বিভিন্ন প্রজেক্টেও পরিকল্পনা বিদদের চাহিদা ভালই । দেশেরপ্রতিটি কন্সট্রাকশন ফার্ম ও কন্সাল্টেন্সী ফার্মে স্বীকৃত পরিকল্পনাবিদ থাকাটা এখন বাধ্যতামূলক । আর বিভিন্ন রিয়েল ষ্টেট কোম্পানি, এনজিও, বেসরকারি সংস্থাতেও রয়েছে কাজের প্রচুর সুযোগ ।এছাড়া পরিকল্পনা বিষয়ক বিভিন্ন সফটওয়্যার বিশেষ করে GIS (geographic information system) এর ব্যাবহারে দক্ষ হতে পারলে জীবনে কখনই থেমে থাকতে হবে না, GIS এর প্রয়োগবিধিতে দক্ষ হতে পারলে আবহাওয়া অধিদপ্তর, কৃষি বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর অনেক জায়গাতেই কাজ করা সম্ভব । এমনকি, ট্রান্সপর্টেশনের ক্ষেত্রেও এখন প্ল্যানার এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে । এছাড়া যে কেউ চাইলেই প্রকৌশলীদের সাথে কারিগরি দিকেও কাজ করতে পারে ।আর দেশের বাইরে এই সাবজেক্টের চাহিদা তো রীতিমত আকাশচুম্বী, ,উন্নত বিশ্বে নগর থেকে শুরু করে সকল স্থাপনাই সুপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠে, আর তাই উন্নত দেশগুলোতে এই সাবজেক্টের চাহিদা মনে হয়না নতুন করে বর্ণনা করার দরকার আছে ।তবে, শর্ত প্রযোজ্য, , তোমাকে অবশ্যই অবশ্যই এগুলার যোগ্য হতে হবে । শুধু পাশ করে বের হলেই যে তোমাকে আমাকে ডেকে দেশে কিংবা বিদেশে নিয়ে গিয়ে চাকরি দিবে, এইটা ভাবার কোন নাই ।#উচ্চশিক্ষাঃ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা রয়েছে । কেউ চাইলেই পরিকল্পনা বিষয়ক বিভিন্ন শাখায় উচ্চ শিক্ষা নিতে পারবে । আবার চাইলে পুরকৌশল এবং স্থাপত্য বিদ্যার বিভিন্ন শাখায়ও উচ্চ শিক্ষা নিতে পারবে । এ বিষয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করার ক্ষেত্রে ফান্ডিংও বেশ ভালো পাওয়া যায় । গত বছরের কিছু বৃত্তি লিংকঃ 1. http://goo.gl/n2dNh0 2. http://goo.gl/3cLI9l ইউ আর পি তে পড়লে নামের পাশে ইঞ্জিনিয়ার শব্দটি লাগানো যায়না বলে অনেককেই ব্যাথিতহতে দেখা যায় । আসলে এসব কোন ব্যাপার নয় । এখানে যেহেতুপুরকৌশলের কিছু কোর্সের পাশাপাশি মেকানিক্স, প্রোগ্রামিং, স্থপত্যবিদ্যার কিছু কোর্সও করানো হয় তাই স্বাভাবিক ভাবেই ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বাদ ভালভাবেই পাওয়া যায় । আর তাছাড়া নামের পাশে প্ল্যানার শব্দটি লাগানোও কিন্তু অনেক সন্মানের ।।সবশেষে বলব, ,যারা কারিগরি এবং ক্রিয়েটিভ শিক্ষার অদ্ভুত এক মেলবন্ধনে নিজেকে বাধতে চাও,নিজের নিজস্বতা প্রকাশ করতে চাও, বড় পরিসরে নিজেকে মেলে ধরতে চাও তারা নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনাকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেচে নিতেই পারো । শুধু এতটুকুই বলব, , তোমার ভবিষ্যৎ ভালই হবে, কখনও থেমে থাকতে হবে না ।।Now choice is yours. লিখেছেন -মোঃ সুপ্ত করিম-নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ,রুয়েট (১২ সিরিজ)
Share on:
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষেরই লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় তারা আজও লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে শুধুমাত্র ট্যানারিকেই বুঝে।যার কারণে আজও একজন শিক্ষার্থী লেদার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তার ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগে এবং এই একই কারণে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের বিভাগ পছন্দের তালিকার নিচের দিকে থাকে এই সাবজেক্টটি।এই সাবজেক্টটি কি, এই সাবজেক্টে কি পড়ানো হয়, ভবিষ্যতে কি করতে পারবে, চাকরির বাজার কেমন সে সম্পর্কে লিখছি।
১. লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং কি??
- লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্যকে সংশ্লেষণ,উৎপাদন এবং পরিশুদ্ধ করণকে বুঝায়।যার মাধ্যমে পরবর্তীতে বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস যেমন- ফুটওয়্যার,ব্যাগ,খেলার সামগ্রী, জুতা,মানিব্যাগ,জ্যাকেট সহ বিভিন্ন বিলাসবহুল পণ্য তৈরি করা হয়।
২. লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এর শাখা কি??
- ম্যানুফেকচারিং,ফুটওয়্যার,লেদার প্রোডাক্টস এই ৩ টি শাখা হচ্ছে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান শাখা।
৩. লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এ কি পড়ানো হয়?
-লেদার সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে মূলত পড়ানো হয় কাঁচা চামড়া থেকে লেদার তৈরির কলাকৌশল,বিভিন্ন ব্যবহার উপযোগী লেদার উৎপাদন এবং বিভিন্ন চামড়াজাত পণ্যের ডিজাইন ও নির্মাণকৌশল।এর পাশাপাশি চার বছরের কোর্সে অন্তর্ভুক্ত থাকে বিভিন্ন ভৌত ও ফলিত বিজ্ঞান কোর্স।সঙ্গে মৌলিক প্রকৌশলের বিভিন্ন কোর্স যেমন- ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার এন্ড ফান্ডামেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
৪. বি.এসসি পাশ করার পর বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ কেমন?
- বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে লেদারের পাশাপাশি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং,এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং,পলিমার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজাইনিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স ইত্যাদি বিষয়ে একজন লেদার ইঞ্জিনিয়ারের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
৫. সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ আছে কি?
-আছে।বিসিএস,নির্বাচন কমিশন,এনএসআই, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো,লেদার রিসার্স ইন্সটিটিউট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এলএসবিপিসি,অর্থ মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ইত্যাদি ক্ষেত্রে চাকরির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
৬. বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ আছে কি?
-ব্যাপক সুযোগ আছে।বাটা,এপেক্স,লোট্টো, ডাইসম্যান, টিম্বারল্যান্ড, ডিক্যাথলন, কারি, এডিডাস, নাইকি, পুমা প্রভৃতি নামকরা বিদেশী বায়িং হাউজে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।এছাড়াও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন লেদার, ফুটওয়্যার ও লেদার প্রোডাক্টস প্রতিষ্ঠানে একজন ইঞ্জিনিয়ার বা ফুটওয়্যার ডিজাইনার হিসেবে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।
৭. একজন লেদার ইঞ্জিনিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের কোথায় কোথায় কাজ করতে পারবে??
- রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, প্রোডাক্ট ডিজাইনিং, মার্চেন্টাজিং, প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি স্হানে কাজ করতে পারবে।
৮.বাংলাদেশের কোথায় কোথায় এই সাবজেক্ট পড়ানো হয়??
- খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(কুয়েট) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি(আইলেট) শুধুমাত্র এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সাবজেক্ট পড়ানো হয়।
ঢাবিতে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং(৪০ জন),লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং(৪০ জন) ও ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং(৪০জন) করে আলাদা ভাবে পড়ানো হলেও কুয়েটে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে একই সাথে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং,লেদার প্রোডাক্টস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ানো হয়।সেক্ষেত্রে কুয়েট থেকে বি.এসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা চাইলে ৩ টি সেক্টরের যেকোন একটি সেক্টরে কাজ করতে পারবে।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের একটি বড় অংশ ধরে রেখেছে চামড়াশিল্প।আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের অবস্থান চতুর্থ।
বর্তমানে চীন,কোরিয়া সহ বিভিন্ন উন্নত দেশগুলো তাদের লেদার ও ফুটওয়্যার বিজনেসগুলোকে স্হানান্তর করছে বাংলাদেশে।বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত চামড়ার গুণগতমান ভালো হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারেও এর বেশ কদর রয়েছে।এজন্য চামড়া ও চামড়াশিল্পজাত পণ্য উৎপাদনকারী বহু প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসার রুটিন সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে।বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ছোট জুতা ও চামড়াজাত পণ্য তৈরির কারখানা রয়েছে।এসব প্রতিষ্ঠানে প্রক্রিয়াজাত চামড়া ও জুতার পাশাপাশি নানা ধরনের চামড়াজাত পণ্য তৈরি হচ্ছে।এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে এবং ক্রমাগত দেশের অর্থনৈতিক অবস্হার উন্নতি হচ্ছে।
শ্রমবাজার তুলনামূলক কম হওয়ায় এবং কাঁচামাল প্রাচুর্যতার কারণেই বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের শক্তিশালী ক্ষেত্র হয়ে দাঁডিয়েছে এই সেক্টরটি।বাংলাদেশে এই সেক্টরে যে পরিমাণ দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন,বর্তমানে রয়েছে তার তুলনায় অনেক কম। তাই সামনের দিনগুলোতে লেদার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য এক অপার সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে।তাই লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে পড়ালেখার মাধ্যমে তুমিও হয়ে উঠতে পারো এ সেক্টরের একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এবং গড়তে পারো তোমার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার।
লেখা: Shahedur Rahman Rony
(LE,2k15,kUET)
Share on:
আচ্ছা, Fast and Furious মুভি সিরিজটা প্রায় সবারই খুব পছন্দের, তাইনা! সাঁই সাঁই করে ছুটে চলা সুপার কারগুলো😍 দেখে কারো কারো মনে স্বপ্ন জাগতো, একদিন আমিও এমন গাড়ি চালাব! শুধু চালাবই না, নিজে বানিয়ে তারপর চালাব! অথবা গেইম অফ থ্রন্স, পুরো ভাইরাল টিভি সিরিজ! স্টার্টিং এই যে সমতল মাটি থেকে দাঁতকাটা চাকা উঠে ঘোরা, একটার সাথে আরেকটা চাকা লেগে লেগে ঘুরতে থাকা, দেখেছ নিশ্চয়ই! মুভি/সিরিজ এর রিভিউ নিয়ে বকবক করবো না কিন্ত! অনেকেই আন্দাজ করতে পারছো, আমি কোনো সাব্জেক্ট নিয়েই হয়ত কথা বলতে চাচ্ছি!
হ্যাঁ, সাব্জেক্টটি হল মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং! এটার শুরু সেইই আদিম আমল থেকে, যখন মানুষ কোনোকিছু বানিয়ে ব্যাবহার করতে শুরু করলো, শক্তির ট্রান্সফার ঘটিয়ে সভ্যতার বিবর্তন ঘটানো শুরু করলো!
অনেক পরিচয় পর্ব তো হলো, এখন নাহয় বিষয়টিতে আসলে কি, কেমন, কি জিনিস পড়ানো হয় সেগুলো একটু বলি!তোমরা যেহেতু এখনো ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়ে তেমন কোনো ধারণা রাখো না, তাই তোমাদের জন্য সহজ ভাষায় বলছি!
চার বছরে তোমাকে অনেকগুলো কোর্সই করতে হবে, নন ডিপার্টমেন্টাল হলো ইলেক্ট্রিক্যাল, সিএসই, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গনিত, মানবিক ,আর বাকিগুলো মেকানিকালের অধিভুক্ত।
ফিজিক্সে পড়তে হবে বিভিন্ন বস্তুর গঠন, প্রধানত ক্রিস্টাল/স্ফটিক এর খুঁটিনাটি, বিভিন্ন ধর্ম-আচরন আর মডার্ন ফিজিক্স, যেটা তোমরা ইন্টারে কিছুটা পড়ে আসছিলা, ৮ম-৯ম অধ্যায়!
কেমিস্ট্রিতে পড়তে হবে জৈব যৌগ😛, না না ভয় পাওয়ার কিছু নেই,কিছু ব্যাসিক জিনিসপত্র আর পলিমার-প্লাস্টিক-রবার-সিমেন্ট-কাঁচ-সিরামিক এসব! খুব ডিটেইলসে না!
এবার আসি ম্যাথে! ইন্টিগ্রেশন আর ডিফারেন্সিয়েশন সহ এর উচ্চতর শাখা-প্রশাখা অনেক অনেক অন্নেক গভীরে গিয়ে পড়াবে, ইন্টারে তোমরা তার ১০% টপিকও পড়োনি!ম্যাথের পরিধি ব্যাপক ইঞ্জিনিয়ারিং এ!
মানবিক বিভাগ শুনে হয়তো তোমরা কিছুটা অবাক হচ্ছো! খালি ইঞ্জিনিয়ার হলেই হবে, সোসাইটিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তোমাকে কিভাবে ডিল করতে হবে সেটা জানতে হবে না?!!😎 এখানে পড়বে ইংলিশ, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, সোশিওলোজি, এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স ইত্যাদি।
ইলেক্ট্রিক্যাল এ বিভিন্ন ধরণের সার্কিট , মেশিনারিজ যেমন জেনারেটর, মোটর, ট্রান্সফর্মার, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি পড়ানো হবে।
সিএসই তে পড়বা ব্যাসিক কিছু প্রোগ্রামিং, আর Computer Aided Drawing(CAD).
এই ছিল মোটামুটি সহজ ভাষায় নন ডিপার্টমেন্টাল গুলো! এবার আসি মেকানিক্যালের গুলোয়!
কোনো একটা নির্দিষ্ট জিনিস বানাতে কত প্রকার প্রসেস আছে, মেশিন ব্যাবহার করা হয় সেগুলোর ডিটেইল পাবা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসে। এরপর আছে থার্মাল ইঞ্জিনিয়ারিং, যেখানে তুমি তাপশক্তির উৎপাদন, প্রক্রিয়া, মুলনীতিসমুহ, যন্ত্রপাতিসহ বিশদ জানতে পারবে।
এরপরেই পাবা মেকানিক্যালের কোর পার্ট, মেকানিক্স! ইন্টারে ম্যাথে সেকেন্ড পেপারে স্থিতিবিদ্যা আর গতিবিদ্যা পড়েছিলে না?!! সেগুলোই বিভিন্ন ধরণের ক্ষেত্রবিশেষে যেমন ফ্লুইড, সলিড, সারফেইস ইত্যাদিতে কিভাবে কাজ করে, সেসব বিষয়ে বিস্তারিত পড়বে! আর কিছু বললে বুঝবা না, তাই বলছি না!
এছাড়া পাবা থার্মোডায়নামিক্স, হিট ট্রান্সফার, মেশিন ডিজাইনিং সহ আরো অনেক কিছু! এবং আবার বলছি, প্রতিটা জিনিসই কিন্ত অনেক গভীরে গিয়ে পড়ানো হবে!
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ভাই এতকিছু দেখলাম, কই আমার গাড়ি-ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারে তো কিছু দেখলাম না!
আসলে তোমাকে এখানে ব্যাসিক ধারনা দিয়ে দেওয়া হবে সবকিছুর, যাতে ভবিষ্যতে তুমি তোমার পছন্দমতো জায়গায় শিফট করে তারপর সেদিকে অগ্রসর হতে পারো! তবে হ্যাঁ, অটোমোবাইলসের উপর অপশনাল কোর্স আছে। আর তোমাদের ফ্যাসিনেশনের যেই সমস্ত সেক্টরগুলো মেকানিকালের সাথে জড়িত, সেগুলোর সুত্রপাত কেবল এখান থেকে হবে। আস্তে আস্তে তোমরা তোমাদের স্বপ্নের জায়গায় পৌছবে।
জবের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বিদেশে যে অনেক ডিমান্ড সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশে গভর্নমেন্ট জবগুলো কিছুটা কম হলেও প্রাইভেট সেক্টরে কিন্ত প্রচুর সুযোগ আছে!এবং দিন দিন বাড়ছেই! সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি, পাওয়ার প্ল্যান্ট গুলাতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা।
আর যেহেতু এটা মাদার সাব্জেক্ট, তাই এটা থেকে বের হবার পর তুমি মেকানিকালের অধিভুক্ত সেক্টরগুলো যেমন আইপিই, লেদার, টেক্সটাইল এও সুইচ করতে পারবে, নন মেজর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।
পরিশেষে একটা কথাই বলবো, ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোনো সাব্জেক্টই সহজ না, অনেক পরিশ্রম করতে হবে... তবে ভালবাসতে পারলে ঠিকই সুন্দরমতো মানিয়ে নেওয়া যায়।
যদি মনে হয় তুমি মেকানিকালকে আপন করে নিতে পারবে, মেকানিকালের দুনিয়ায় তোমাকে স্বাগতম, হবু মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার!
লেখকঃ Samiul Alam Pranto
Department Of Mechanical Engineering
Khulna University of Engineering & Technology
Share on:
Today is your opportunity to build the tomorrow you want. আর এই opportunity কে কাজে লাগানোর সবথেকে বেশি opportunity পাবে তুমি এই সাব্জেক্টটিতে। নিশ্চয়ই ভাবছ এভাবে বলছি কেন?
প্রথমত, মহাবিশ্ব মানেই শক্তি আর পদার্থ। তাই তোমার পদচারনা হবে অর্ধেকের বেশি মহাবিশ্বে।
দ্বিতীয়ত, ENERGY SYSTEM DESIGN ANALYSIS, ENERGY & PROCESS INTEGRATION & কোন সিস্টেমের EXERGY(google it) ANALYSIS বাংলাদেশে কেবল এই ডিপার্টমেন্ট এ শেখান হয়।
তৃতীয়ত, ANALYTICAL SKILL বাড়ার সাথে সাথে তুমি SYSTEM DESIGNING, SIMULATION এবং CODING এ সমান দক্ষ হবে যা কর্মক্ষেত্রে তোমাকে সহায়তা করবে।
চতুর্থত, একমাত্র এই ডিপার্টমেন্ট এ Rrenewable Energy Engineering সহ Mechanical, Electrical & Chemical Engineering ডোমেইন এরএর Energy রিলেটেড পার্ট এবং Nuclear Engineering একই সাথে, সমন্ময়ে আলোচনা করে।
পঞ্চমত, বর্তমান বিশ্বের শক্তির চাহিদা প্রেক্ষাপটে এই সাব্জেক্টে তুমি RESEARCH এর সুযোগ পাবে সবথেকে বেশি।
চার বছর ধরে তুমি উপরের ৫ টি ডোমেইন এ দক্ষ হবে। ফোকাসড বিষয় গুলো হল-
ENERGY ENGINEERING
Exergy analysis
Energy storage system
Thermodynamics and energy conversion
Conduction & radiation heat transfer
Convectional heat transfer
Internal combustion enginess
Power plant engineering
Sustainable & renewable energy
Bio energy & engineering
Solar thermal & photovoltaic engineering
Wind & hydro power engineering
Energy system modeling and analysis
Electrical energy systems
Refrigeration & air conditioning system
Energy management
Energy conversion & management (ECM)
Modern fuels
Engineering drawing
Energy & process engineering
Environmental science & protection
System designing
NUCLEAR ENGINEERING
Fundamentals of nuclear engineering
Nuclear reactor engineering
Reactor thermal hydraulics & safety
Control engineering
MECHANICAL ENGINEERING
Solid mechanics
Fundamental of fluid mechanics
Applied fluid mechanics
Fundamentals of control system analysis
Computational fluid dynamics
ELECTRICAL ENGINEERING
Power system operation & control
Power system reliability
Power plant protection
Power electronics & machines
Circuit analysis & control
CHEMICAL ENGINEERING
Chemical & petroleum engineering
Natural gas processing
Chemical storage system
Energy efficiency of chemical industry etc.

এছাড়া চার বছরে তুমি দক্ষ হবে CFD software (LIKE ANSYS), MAPLE, MATLAB, PYTHON, EES( Engineering equation solver), CAD Softwares (like SOLIDWORK) সহ আরও কিছু software এ যেগুলা তোমার প্রফেশনাল স্কিল বাড়াবে, research & analysis সহজ করবে।

এখন আসি উচ্চশিক্ষা আর ক্যারিয়ার এর কথায়-
একুশ শতকের সবচেয়ে চিন্তার কারন শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা, কারন রিজার্ভড ফুয়েল শেষের পথে আর ESE ডিপার্টমেন্ট 'Sustainable renewable energy' নিয়ে আলোচনা করে। বিশ্বের প্রতিটি উন্নত রাষ্ট্র যেমন USA, Germany, Denmark, Norway, China, Japan, Russia, Sweden এখন Energy Engineering এবং বিশেষ করে Renewable Energy নিয়ে প্রচুর রিসার্চ করে। যেহেতু বাংলাদেশে সাব্জেক্টটি নতুন তাই একটু ভাল রেজাল্ট আর বেসিক ডেভেলপ করলেই এসব দেশে স্কলারশিপ বা চাকরির সম্ভাবনা ১০০%। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তুমি Mechanical,Electrical, Chemical or Nuclear Engineering ডোমেইন এর যেকোন বিষয় নিয়ে অগ্রসর হতে পারবে(justify it) কারন বুঝতেই পারছ এটা একটা মাল্টিডিসিপ্লিনারি ডিপার্টমেন্ট।
এছাড়া যেকোনো renewable or nonrenewable energy form নিয়ে অথবা যেকোনো energy operating system নিয়ে রিসার্চ করতে পারবে। so বুঝতেই পারছ রিসার্চ এর ক্ষেত্র কতটা প্রসারিত!!!!
Job এর ক্ষেত্রে ও বাইরের দেশে প্রচুর সুবিধা পাবে কারন সাব্জেক্টটি পৃথিবীর নব্যচর্চিত সাব্জেক্টগুলোর একটি। ক্ষেত্রের প্রসারের তুলনায় খুবই কম মানুষ এটা নিয়ে চর্চা করেছে। এজন্য প্রচুর যব পড়ে আছে শুধু তোমার গ্রাজুয়েশন এর অপেক্ষায়। আর যদি দেশের ক্ষেত্রে চিন্তা কর তাহলে কোন প্রোডাকশন সিস্টেমের total Analysis শুধুমাত্র তোমরাই করতে পারবে। কারন তোমরাই একইসময়ে energy conversion এর প্রতিটি factor সম্পর্কে ধারনা রাখবে এবং যেকোন production system analysis & design করতে পারবে। তাই দেশের প্রতিটি Energy related plant এবং Energy related parts manufacturing company তে তোমাদের যব সুনিশ্চিত কারন তোমাদের স্কিল অনেক বেশি হবে আর কম্পিটিটর হবে অনেক কম(কারন এটিই বাংলাদেশের প্রথম এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট) । আর salary? Just google it & it will blow your mind! (example : Average 88800 USD annually in USA).
দেশের প্রতিটি power plant এখনো বিদেশি Engineers দের সাহায্যে চলে। এই পর্বের ইতি টানতেই তোমাদের এই সাব্জেক্ট। প্রতিটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়টি রয়েছে। তাই যেকোনো ইনফরমেশন এবং এর ফিউচার জানার জন্য university site গুলা ভিজিট করতে পার।( like MIT, IIT, University of California, University of Texas, Stanford etc.)
যেহেতু Energy Science & Engineering একটা নতুন ডিপার্টমেন্ট তাই কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।
১) ল্যাব ফ্যাসিলিটি কেমন?
উত্তরঃ সুখবর এই যে KUET এ এই সাব্জেটটি নতুন নয়। ২০০৭ সাল থেকে এখানে MSc চালু ছিল। তাই পুরানো ল্যাব রয়েছে। নতুন BSc চালু হওয়ায় ল্যাবে আরও Instruments যোগ করা হয়েছে। তাই দরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পাবে তুমি।
২)যেহেতু সাব্জেক্ট নতুন এবং বাংলাদেশে প্রথম সেহেতু এ সাব্জেক্টের সম্মানিত টিচার কারা?
উত্তরঃ যেহেতু এই তিনটি বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমষ্টি তাই এ বিষয় এর টিচারগন বেসিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই এসেছেন এবং পরবর্তিতে এনার্জি রিলেটেড বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করেছেন। তাছাড়া Energy Technology এর অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষক রয়েছেন KUET এ (You can google it).
৩) কি কি বিষয়ে রিসার্চ হচ্ছে?
উত্তরঃ উপরে আলোচিত বিষয়গুলো তে তুমি রিসার্চ করতে পারবা। বর্তমানে চলমান কিছু রিসার্চ এর বিষয় হল-
Solar PV system
Solar desalination
Building energy management
Computional fluid dynamics & heat transfer
Computional science & engineering
Pyrolysis
and some other ones.

অবশেষে বলব, Something new is always a challenge & source of new happiness. Here we drive into the future, the future of new energy.Be a part of us.😊
Data source: Monjur Morshed sir, Lecturer (ESE)
Courtesy:
Bapti Niloy Biswas
Nahian Ahnaf Protik
Department of Energy Science Engeneering
Khulna University of Engineering & Technology
Share on:
  • ← Previous post
Facebook Twitter Gplus RSS
Labels
  • Engineering
  • KUET
  • Subject Review
latest posts
latest comments

This blog is to provide you with daily outfit ideas and share my personal style. This is a super clean and elegant WordPress theme for every bloggers. Theme is perfect for sharing all sorts of media online. Photos, videos, quotes, links... etc.

Facebook Twitter Flickr Linkedin Gplus Youtube

University Admission Information (Bangladesh)

  • Home
Powered by Blogger.
Created By SoraTemplates | Distributed By MyBloggerThemes