Subject Review: Biomedical Engineering (Job Review)

এটার পুরোটা সময় হিউমেন বডি রিলেটেড কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আমার মাথায় সবসময় একটা জিনিস ঘুরপাক খেত সাবজেক্ট নেবার আগে যে-পৃথিবীতে মানব দেহের নতুন নতুন সমস্যা (রোগ) সৃষটি হওয়া কোন দিন থামবেনা যতদিন না পৃথিবী ধ্বংস হয়। আর এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবেই হবে কোন ডাউট নেই এবং নতুন নতুন ডিভাইজ তৈরী করতেই হবে। তাই জব আপনার সবসময় থাকবেই যতদিন মানব জাতি তথা প্রাণ আছে। 

বাংলাদেশ
কুয়েট যেহেতু প্রথম পুরো বাংলাদেশে এই সাব্জেক্ট আন্ডারগ্রাজুয়েট খোলার তাই আমরা(প্রথম ব্যাচ ২০১৪) বের না হওয়া পর্যন্ত স্পস্ট ধারনা দেওয়া কঠিন। তবে বাংলাদেশে আগামী ১৫ বছরে যদি কোন ফিল্ডে আগায় তাহলে সেটা মেডিকেল ইকিউপমেন্টের দিক হবে। সেই সুবাদেই আমার জানা তথ্য মতে ছোটবড় মোট ৭৯ টি বায়ো-মেডিকেল ইকিউইপমেন্ট এন্ড ইন্সট্রুমেন্ট এর কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের বিদেশি প্রোডাক্ট ডিল করে (বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত নিজের কোন ইন্সট্রুমেন্ট তৈরী করার কোম্পানী নেই যেটার জন্য বাংলাদেশ কে অনেক বেশি টাকা দিতে হয় এসব কোম্পানীকে তাদের মেডিকেল যন্ত্রাংশ কেনার জন্য। কারণঃ একটা MRI মেশিনের দাম ১০ কোর্ট -ই টাকা যেটা বাংলাদেশে উৎপাদন অদূর ভবিষ্যতে যদি সম্ভব হয় তাহলে অনেক কম খরচেই হয়ে যায়) বাংলাদেশে একজন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে খুব সম্ভবত এইসব কোম্পানিতে জব পেতে পারেন।মেইনটেনেন্স এবং মেশিন এর উপর ট্রেনিং করে এসে সেটা ইন্সটলমেন্ট থেকে শুরু করে খুটিনাটি ঠিক করা। যেহেতু বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার মোটের উপর বাংলাদেশে নেই তাই এসব জব ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার-রা করে থাকে বেতন খারাপ না। আমার তিন জন বড় ভাইয়ের কাছে জানা স্টারটিং ৩০,০০০+ এবং বাড়বে ভালই। কিন্তু রিসার্চ ফিল্ডে কাজ করার একদম বাংলাদেশে সুযোগ নাই। তাই মোটামোটি ধরে রাখেন বিদেশে আপনার যাওয়াই ভাল পরে বাংলাদেশে ইনভেস্ট করলেন কোন সমস্যা নেই। আর যেহেতু নতুন সাব্জেক্ট তাই বাংলাদেশের অন্য সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সাবজেক্ট খুললে সেখানে শিক্ষকের জব তো করতেই পারবেন। বেতন অনেক ভাল আশা করা যায়। বর্তমানে বুয়েট, MIST, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, JUST, সবশেষে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় এই সাবজেক্ট খুলেছে। তাছাড়া অন্যান্য গুলোতে খুললে অবশ্যই অনেক শিক্ষিকের প্রয়োজন হবে। 

বিদেশ
সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ এখন এই ফিল্ডেই দেওয়া হচ্ছে(আমার জানা মতে), অনেক কেই ইলেক্ট্রিকাল, মেকানিক্যাল পরে এ সাবজেক্টে স্কলারশিপ পেয়ে বাইরে যেতে দেখছি। তবে একটা কথা এই সাবজেক্ট পড়ে আপনি দেশে থেকে কোন মজাই পাবেননা। এবং ফান্ডিং ও ভাল (যদিও সেটা GRE, IELTS, TOEFL এর স্কোরের উপর নির্ভর করে অনেকটা)

বিসিএস
আমার জানা তথ্য মতে সরকারের বিল পাশ হয়েছে। যেহেতু এই সাবজেক্ট খোলার উদ্যেশ্য ছিল সরকারী হাসপাতালের দামী মেডিকেল যন্ত্রগুলো রক্ষনাবেক্ষন ও মেইনটেনেন্স করা, তাই সব সরকারী হাসপাতালে সরকারী জবের অপশন থাকবে এবং ইঞ্জিনিয়ারের স্কেলেই বেতব হবে। এখনো ডিক্লিয়ার হয়নি ২০১৯ এ হবার কথা আছে। 
মোটের উপর বলতে গেলে বাংলাদেশে স্কোপ কম কিন্তু আছে আর বাইরে অনেক বেশি। আর সাবজেক্ট-টা অনেক প্যাশোনেটেট না হলে পড়া উচিৎ না। কারণ ইঞ্জিনিয়ার-রা সাধারণত বায়োলজি পছন্দ করেনা, কিন্তু এই সাবজেক্টে হিউমেন এনাটমি শুরু থেকে বায়োক্যামেস্ট্রি পর্যন্ত স্টাডি করতে হয়। তাই দেখেশুনে ভেবে চিন্তে ডিসিশন নিবেন।

সকলের শুভকামনায়,
জয় জেমস কস্তা
বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কুয়েট
তৃ্তীয় বর্ষ ২য় টার্ম
ব্যাচ ২ক১৪
0 comments