রেটিংঃ ★✰✰✰✰

প্রথমেই বলবো যতটা সম্ভব ঐ যায়গায় না উঠাই ভালো। এবার আসি কারণে। হ্যা, যায়গাটার সিকিউরিটি ব্যাবস্থা ভালো। কিন্তু মালিক,কেয়ারটেকার,ম্যানেজার তাদের ব্যবহার বস্তির মানুষদের থেকেও খারাপ।

এখন তোমরা গেলে অনেক ভালো ভালো কথা বলবে। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে, সুযোগ সুবিধার কথা বলবে। কিন্তু কয়েকদিন পর দেখবা সমস্যাগুলো। সুযোগ সুবিধা যা যা বলবে তার একটাও পাবেনা। তারা তখন পুরোপুরি অস্বীকার করবে তাদের কথাগুলা।
এরপর সব সময়ই কারেন্ট বিল নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকবে। ১ মাস যদি নাও থাকো দেখবা বড় অংকের একটা বিল চলে আসছে। যেটা সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে বলবে বিদ্যুৎ অফিসে যেয়ে কথা বলতে। এইটা আমরা ফেইস করছি রোজার বন্ধে। রোজার একমাস বন্ধ, তাই কেউ ছিলাম না কিন্তু কারেন্ট বিল দেখে মনে হইছে যেনো সেখানে লাইট,ফ্যান ছাড়াও ফ্রিজ,হিটার,ওভেন,টিভি এবং রাত দিন ধরে ডিজে পার্টি হইছে। এইটা এক মাসের কথা বললাম। এমন সমস্যা কম বেশি সব মাসেই লেগে থাকে।
কিছু বলতে গেলে রুম থেকে নামায়ে দেয়া থেকে শুরু করে তুই তুই কারি করেও কথা বলে। আর হুটহাট করে তোমাকে ডাহা মিত্থুক বানায়ে দিবে। দুইজন এর রুম বলেও কোনো কিছুর এর অজুহাত দিয়ে তোমার রুমেই আরেকজন কে ঢুকায়ে দিবে এবং সেটা তোমাকে না জানায়েই! কেয়ারটেকার কোন কাজ করবেনা।করিডোর,বাথরুম কিছুই পরিষ্কার করেনা, কিন্তু গলাবাজি ঠিকই করবে। কিছু বললেই গরম দেখাবে। 

আর তাদের সাথে কোনো কথা কাটাকাটি করলেই বাসায় ফোন করে হাবিজাবি বলার হুমকিও দিতে পারে। বাসা থেকে দূরে থাকো সো বাসায় উলটা পালটা কিছু বললেই বাসায় টেনশন করাটা স্বাভাবিক। আমি হয়তো সবকিছু বুঝায়ে বলতে পারিনাই। যেহেতু আমি ছিলাম তাই ওদের খাচরামি সব নিজে চোখেই দেখসি। তাই তোমাদের ভালোর জন্যই বলতেসি যায়গাটা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

লেখকঃ সাইফ আহমাদ

Department of Electronics & Communication Engineering

Khulna University of Engineering & Technology