লেখক(১): আহনাফ জাহিন
Department of Civil Engineering
Chittagong University of Engineering & Technology
আমি আজকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে কিছু বলছি। সাবজেক্ট চয়েসের সময় কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখার চেষ্টা করে সবাই।
১) জব পাবো তো?
২) স্কলারশিপের সু্যোগ কেমন?
৩) রেজাল্ট কেমন আসে?
৪) কত তাড়াতাড়ি জব পাব?
৫) জবে প্রতিযোগিতা কেমন?
৬) কি পরিমাণ জব আছে? (ফ্রেশার এবং এক্সপেরিয়েন্সড দের জন্য)
৩) রেজাল্ট কেমন আসে?
৪) কত তাড়াতাড়ি জব পাব?
৫) জবে প্রতিযোগিতা কেমন?
৬) কি পরিমাণ জব আছে? (ফ্রেশার এবং এক্সপেরিয়েন্সড দের জন্য)
এছাড়াও আরো কিছু প্রশ্ন আসা উচিত যেটা আসলে সবার মাথায় আসে না।
১) কোন সাবজেক্টে পড়লে আমার জব সিকিউরিটি বেশি? (হুট করে চাকরি চলে যাবার ভয় কম)
২) দেশের বাইরে স্কলারশিপ নিয়ে তো পড়তে যাব, কিন্তু কোন সাবজেক্ট নিয়ে পড়লে আমি ওই দেশে সহজে জব পাবো আর ওই দেশ আমাকে ওখানে সেটেল্ড হবার সুযোগ দেবে কি না? (ধরা যাক আমি এমন এক বিষয় নিয়ে পড়লাম যে বিষয়ে স্কলারশিপ দেয় এমন একটা দেশ, যে দেশ আমাকে ওখানে সেটেল্ড হতে দেবে না (multi-citizensh ip এলাও করে না যেমন: জাপান, কোরিয়া ইত্যাদি), আমাকে পড়াশুনা করে আবার দেশে ফিরে আসতে হবে বা আবার অন্য কোন দেশে পড়তে যাবার চেষ্টা করতে হবে।
অথবা আমি সাবজেক্ট নিয়ে একটা দেশে সহজে স্কলারশিপ পেলাম, কিন্তু চাকরি পেলাম না। (যেমন নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে রাশিয়াতে, বায়োমেডিকেল নিয়ে চীনে বেশ ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যাবে, কিন্তু চাকরি পেতে খবর হবে, কারণ কম্পিটিশন বেশি।)
৩) আমার জবের বেতন বেশি হবে কোন বিষয় নিয়ে পড়লে? (দেশে এবং বিদেশে) কারণ অনেক বিষয় নিয়ে পড়লে হয়তো বা সহজে জব পাওয়া যাবে, কিন্তু অভিজ্ঞতার সাথে যথেষ্ট স্যালারি বাড়বে না।
এই সবগুলো জিজ্ঞাসার উত্তর ধাপে ধাপে দিয়ে বলছি কেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নেয়া একটা ভালো অপশন হতে পারে।
এই সবগুলো জিজ্ঞাসার উত্তর ধাপে ধাপে দিয়ে বলছি কেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নেয়া একটা ভালো অপশন হতে পারে।
এখানে আমি ২ টা সাইটের লিংক দিলাম। এদের কাজ হল সারা পৃথিবীতে যত জব সারকুলার আসে তা এক জায়গায় করা, (কেবল সরকারি জব, আর কোনো কোম্পানির খুব গুরুত্বপূর্ণ জব যেমন ডিরেক্টর, এমডি, সিইও, জিএম বা কোনো ডিপার্টমেন্ট এর হেড। ৫% জব এর খোজ এতে পাওয়া যায় না। এছাড়া প্রায় সব বেসরকারী জবের খোজ এতে পাওয়া যাবে।)
এই দুইটা সাইট জব সার্চের ক্ষেত্রে অনেকটা গুগলের মত কাজ করে। প্রতিদিন দুপুর ১২ টার সময় এটা আপডেট রেজাল্ট দেয়।
এই দুইটা সাইট জব সার্চের ক্ষেত্রে অনেকটা গুগলের মত কাজ করে। প্রতিদিন দুপুর ১২ টার সময় এটা আপডেট রেজাল্ট দেয়।
তো এই সাইট টার বাংলাদেশ রিজিওনে সার্চ করলে দেখবা ইলেকট্রিক্যাল আর মেকানিক্যালের চেয়ে সিভিলের জব বেশি। আবার একই সার্কুলারে অনেক সময় ইলেক্ট্রিক্যাল আর মেকানিক্যাল কল করে, তাই কম্পিটিশন আরও বেড়ে যায়।
সেখানে সিভিলের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সার্কুলারে কেবল সিভিলকেই কল করে, তাই কম্পিটিশন কম। আরেক হল ডিপ্লোমা। মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল আর সিভিল তিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়েই এরা প্রতিদ্বন্দ্বী। এদের কম বেতনে কাজ করানো যায় বিধায় অনেক কোম্পানিই এদেরকে পছন্দ করে।
সেখানে সিভিলের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সার্কুলারে কেবল সিভিলকেই কল করে, তাই কম্পিটিশন কম। আরেক হল ডিপ্লোমা। মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল আর সিভিল তিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়েই
যাই হোক ডিপ্লোমা আর জব কম্পিটিশন ২ টা দিক বিবেচনা করেই বাংলাদেশে সিভিলের জব বেশি (সরকারি চাকরি না ধরেই, ওখানেও কিন্তু আবার সিভিলের জব সর্বোচ্চ।)
এবার আসি প্রথম জবের ব্যাপারটাতে। এটা ঠিক ফ্রেশারদের জন্য প্রাইভেট জব পাওয়া সিভিলে কঠিন। মেকানিক্যাল আর ইলেক্ট্রিক্যালে তুলনামূলক সহজ। কিন্তু ফ্রেশারদের জন্য সিভিলে অনেক সরকারি চাকরির সুযোগ আছে (সরকারি চাকরি যে কেবল বিসিএস থেকেই পাওয়া যায় এই ভুল ধারণা যেন আবার কারো না থাকে। রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, এলজিইডি,পিডিবি, পল্লী উন্নয়ন, পাবলিক হেলথ, ওয়াসা, বাপেক্স, পেট্রবাংলা, এলজিয়ারডি, ভূমি, রোডস এন্ড হাইওয়ে, এগুলো কিন্তু সরকারী শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এগুলোর আলাদা জব সার্কুলার হয়, বিসিএসের বাইরেও আলাদা সার্কুলার থেকে প্রতি বছর প্রায় ২০০+ রিক্রুট হয় কেবল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, যা অন্য সব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে বেশি)
আর ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের জব গুলো ইন্ডাস্ট্রি বেসড। তাদের পক্ষে নিজে কিছু করা কঠিন। কিন্তু কয়েকজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মিলে কন্সাল্টেন্সি ফার্ম খুলে ফেলতে পারে সহজে। পুঁজি খুব কম লাগে। তারা ডিজাইন, এস্টিমেশন এমন কি ইন্টেরিওর ডিজাইন সার্ভিস দিতে পারে। এভাবে কয়েকবছর কাজ করে ট্রেড লাইসেন্স ম্যানেজ করতে পারলেই কিন্তু একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। এর জন্য ইট্যাবস, প্রফেশনাল অটোক্যাড এগুলো একটু ভালো করে শেখা লাগে। আর ৩-৫ বছরের অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের জব আর স্যালারি যে মেকানিক্যাল আর ইলেক্ট্রিক্যালে র চেয়ে বেশি হয় তার উদাহরণ স্বরূপ উপরের ২ টা সাইট দেখ।
আর ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের জব গুলো ইন্ডাস্ট্রি বেসড। তাদের পক্ষে নিজে কিছু করা কঠিন। কিন্তু কয়েকজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মিলে কন্সাল্টেন্সি ফার্ম খুলে ফেলতে পারে সহজে। পুঁজি খুব কম লাগে। তারা ডিজাইন, এস্টিমেশন এমন কি ইন্টেরিওর ডিজাইন সার্ভিস দিতে পারে। এভাবে কয়েকবছর কাজ করে ট্রেড লাইসেন্স ম্যানেজ করতে পারলেই কিন্তু একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। এর জন্য ইট্যাবস, প্রফেশনাল অটোক্যাড এগুলো একটু ভালো করে শেখা লাগে। আর ৩-৫ বছরের অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের জব আর স্যালারি যে মেকানিক্যাল আর ইলেক্ট্রিক্যালে
৩ এর উত্তরঃ সিভিলে এভারেজ রেজাল্ট ইলেক্ট্রিক্যাল বা সিএসই থেকে খারাপ আসে। কিন্তু এইটা অয়ার্ল্ড ওয়াইড চিত্র। চুয়েট সহ বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও মোটামুটি একই অবস্থা। কিন্তু সিভিলে আমাদের দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সহ মাত্র ২৩৫০ স্টুডেন্ট বের হয় প্রতিবছর। এর মধ্যে অধিকাংশ বেসরকারি বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইবি অ্যাক্রিডিটেশন নেই। অন্য কোন বিষয়ে আইইবি অ্যাক্রিডিটেশনে র খুব একটা গুরুত্ব না থাকলেও সিভিলের ক্ষেত্রে আছে। কারণ আইইবি অ্যাক্রিডিটেশন ছাড়া কোন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের করা ডিজাইন রাজউক বা এলজিইডি থেকে পাশ করানো যায় না। করা গেলেও ঘুষ দেয়া লাগে। তাই একটা কোম্পানির পক্ষে আইইবি অ্যাক্রিডিটেশন ছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেয়া অলাভজনক। তাই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইইবি অ্যাক্রিডিটেশন খুব দরকার। প্রতি বছর ২৩৫০ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বের হলেও আইইবি অ্যাক্রিডিটেড সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বের হয় মাত্র ১১০০। তাই কম্পিটিশন আরো কম। কেবল ডিপ্লোমাই একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। আর বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি চাকরি হল সবচেয়ে বেশি সিকিউরড। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে বেতনও বাড়ানো হয়েছে। আবার চাকরি যাবার ভয়ও সরকারি চাকরিতে প্রায় নেই বললেই চলে। এসব বিবেচনায় সরকারি চাকরি অনেক সেফ, আর সিভিলে সরকারি চাকরি অন্য সব ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়ে বেশি।
এবার আসি স্কলারশিপের কথায়। বাংলাদেশিদের জন্য সব দেশ কিন্তু সুবিধাজনক নয়। রাশিয়া, জাপান, কোরিয়া আর চীনের কথা আগেই বলেছি। আরো অনেক দেশ স্কলারশিপ দেয়। কিন্তু সিটিজেনশিপ দেয় না। বাংলাদেশিদের জন্য দেশের বাইরের মধ্যে ভালো অপশন হল আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ইংল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, ইটালি, স্পেন আর মিডল ইস্ট। এর বাইরে অন্য কোন দেশে বাংলাদেশিদের স্কলারশিপের সুযোগ থাকলেও থাকার জন্য, জবের জন্য, বা ওভারঅল রেসিডেন্স শিপের জন্য অনুকূল না। তাই অন্য কোথাও বাংলাদেশিদের সংখ্যা খুব কম। যেমনঃ রাশিয়া। রাশিয়াতে গেলে ওয়েস্টার্ণ ওয়ার্ল্ডে যাওয়ার সুযোগ অনেক কমে যাবে। কেন তা নিশ্চয়ই ব্যাখ্যা করতে হবে না? আবার রাশিয়া রেসিডেন্সশিপের জন্যও সেফ কোন দেশ না।তোমরা খোজ নিলেই দেখবে তোমাদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে যারা দেশের বাইরে থাকে তারা প্রায় সবাই ই এই কয়টা দেশের কোন একটাতেই থাকে।
যাই হোক উপরের ১১ টা দেশ আর মিডল ইস্টের মধ্যে মিডল ইস্ট এ কেউ স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যায় না। যায় কাজ করতে। সেখানে কাজের সুযোগও কিন্তু সিভিলের বেশি। আসলে মিডল ইস্টে কাজের জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সিএসইর চেয়েও কার্যকর। উদাহরণস্বরূপ ক্যারিয়ারজেট বা জব এটলাসের মিডল ইস্ট রিজিয়ন টা দেখ।
ইংল্যান্ডে ব্রেক্সিটের পর ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। ভিসা পাওয়া গেলেও পারমানেন্ট রেসিডেন্টশিপ বা সিটিজেনশিপ পাওয়া আরো কঠিন। স্পেন সিটিজেনশিপ দেয় না। স্কলারশিপও কম দেয়। ইটালিতে বাংলাদেশিরা অধিকাংশই যায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে, শ্রমিকের কাজ করতে। ইটালিতে খুব কম বাংলাদেশীই ভালো চাকরি বা পড়াশুনা করতে যায়। শ্রমিকই বেশি। আবার চাকরির নিরাপত্তা, বেকারত্তও ইটালি তে বেশি।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশিদের জন্য এখন সবচেয়ে ভাল গন্তব্য হল আমেরিকা( ট্রাম্প আসার পর রেসিডেন্স ভিসা একটু কঠিন করলেও স্টুডেন্ট ভিসা কঠিন করে নি), কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, সুইডেন, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক এই দেশগুলি। এর মধ্যে বেশি নির্ভর যোগ্য হল আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া। আর কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা তিনটি দেশেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের সুযোগ অনেক ভালো। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়াতে সিভিলের চাকরি আর বেতন ভালো। স্কলারশিপও অনেক। কানাডাতে মাইনিং আর এনভাইরোনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অনেক ডিমান্ড। স্কলারশিপও বেশি। এই ২ টা বিষয়ই কানাডা তে সিভিল ফ্যাকাল্টির অধীনে পড়ানো হয়। সাথে সিভিলের নিজস্ব ডিমান্ড তো আছেই। সিভিল নিয়ে পড়লে তাই ৩ টা বিষয়ের যে কোনটাতেই স্কলারশিপ পাবার সুযোগ থাকবে।চাকরিরও সুযোগ থাকবে।
আমেরিকাতে ইলেকট্রিক্যালের পর সিভিলের জব সবচেয়ে বেশি স্যালারিও ভালো। অনেক স্কলারশিপেরও তাই সুযোগ আছে আমেরিকাতে সিভিল নিয়ে।
আমেরিকাতে ইলেকট্রিক্যালের
আর জার্মানিতে স্কলারশিপ সবচেয়ে বেশি মেকানিক্যাল, বায়োমেডিক্যাল আর এনভায়রনটাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের । এর মধ্যে এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং টা সিভিলের ব্রাঞ্চ। তাই জার্মানিতেও সিভিলের স্কলারশিপের সুযোগ থাকবে। জার্মানি জবের জন্যও ভালো।
এবার আসি প্রতিযোগিতার কথায়। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ইঞ্জিনিয়ার সাপ্লাই দেয় ভারত, চীন আর রাশিয়া। এর মধ্যে ভারত সবচেয়ে বেশি সাপ্লাই দেয় আই টি আর কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তার পর ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল এরপর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার (কোরা ডাইজেস্ট থেকে পাওয়া) একই অবস্থা চীন আর রাশিয়াতেও। তাই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রতিযোগিতাও আই টি, কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল থেকে কম।
সবশেষে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হল একটা ব্যাসিক সাবজেক্ট। এর শাখা সাবজেক্ট হল জিওটেকনিক্যাল, এনভায়রনমেন্টাল, ট্রান্সপোর্টেশন , স্ট্রাকচারাল, ওয়াটার রিসোর্স।
দেশের বাইরে, যেমন: কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে মাইনিং, পেট্রোলিয়াম,পাই পলাইন ইঞ্জিনিয়ারিংও সিভিলের অংশ। এমনকি আরবান প্ল্যানিং, কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট, আর্কিটেকচার, সারভেয়িং, ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং এই বিষয়গুলোতেও সিভিল থেকে যাওয়া যায়। তাই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং খুব বিস্তৃত।
দেশের বাইরে, যেমন: কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে মাইনিং, পেট্রোলিয়াম,পাই
আইপিই, নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং, স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এগুলো মেকানিক্যালের শাখা হলেও এগুলোর প্রতিটিই স্বত্নন্ত্র শাখা। বরং জব ফিল্ডে এরা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দের প্রতিদ্বন্দ্বী। যেমন সি এস ই ইঞ্জিনিয়াররা জবফিল্ডে ইইই ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতিদ্বন্দী। কিন্তু সিভিলের কোন ব্রাঞ্চের ইঞ্জিনিয়াররাই জবফিল্ডে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে নি। পৃথিবীর কোন দেশেই না।
এটাই সিভিলের বিশেষত্ব। তাই সিভিলের ভুবনে সকলকে স্বাগতম।
***********
লেখক (২): মোঃ তানভীর আহমেদ
Department of Civil Engeneering
Shahajalal University of Science and Technology
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজঃ সুউচ্চ ভবন, হাইওয়ে,ব্রীজ,পানি প্রকল্প, পাওয়ার প্লান্ট ইত্যাদি পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষনাবেক্ষন করার কাজ করের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্হাপক এর কাজও করে থাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের পরিসরঃযেহেতু সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর পরিসর বাড়ছে তাই এর অনেক শাখা বের হয়েছে। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল:
১) মৃত্তিকা প্রকৌশল
২) স্ট্রাকচারাল প্রকৌশল
৩) পরিবহন প্রকৌশল
৪) পানি সম্পদ প্রকৌশল
৫) পরিবেশ প্রকৌশল
কাজের ক্ষেত্র:
অনেকে ভাবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে ভালো সেলারি পাওয়া যাবেনা,অবশ্যই পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চাকুরির ক্ষেত্র যে সিভিলেই,সেটা এখন আর কারো অজানা নয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করার পর আপনাকে ২/১ বছর কষ্ট করতে হতে পারে,কারন যেকোনো ভালো চাকুরির জন্য প্রয়োজন বাস্তব অভিজ্ঞতা।অভিজ্ঞতাটুকু হয়ে গেলে আপনার উন্নতি আর কেউ ধরে রাখতে পারবেনা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজের ক্ষেত্রগুলো হল-
১) সড়ক ও জনপদ
২) গণপূর্ত বিভাগ
৩) রিয়েল এস্টেট কোম্পানি
৪) নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
৫) পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্য মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি
৬) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ইত্যাদি।
শুধুমাত্র দেশে নয়, দেশের বাহিরেও রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অধিক চাহিদা। আমেরিকার ৬নম্বর সেরা চাকুরি হল সিভিল। আমেরিকাতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন নুন্যতম ৮০,০০০ ডলার থেকে ১২০,০০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ত্ব বাড়ছে। বর্তমানে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। পানি বাতাস এবং মাটি পরিশোধনের বিভিন্য উপায় নিয়েও তারা সজাগ।
পরিশেষে বলতে চাই, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সিভিল পরবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় আছেন তাদেরকে বলবো চোখ বন্ধ করে আমাদের জগতে চলে আসুন, কথা দিচ্ছি বিশ্বকে সুন্দর করে গড়তে আপনি সক্ষম হবেনই।
0 comments